ছড়া মানেই রিটন ॥ প্রবীর বিকাশ সরকার


ছবি: পিআর প্ল্যাসিড

ছড়া জাদুকর লুৎফর রহমান রিটনের ৬০তম জন্মদিন ১ এপ্রিল। শুভ জন্মদিনে জানাই রক্তিম অভিনন্দন এবং বাসন্তী শুভেচ্ছা।

আমাদের সময়ে রিটন শুধু স্বনামধন্য ছড়াকার বা শিশুসাহিত্যিকই নয়, একজন কিংবদন্তিতুল্য ছন্দশিল্পীও বটে। ছড়া মানেই রিটন এবং রসে টুইটুম্বুর আর বিচিত্র চিত্রকল্পের আধার তার মন।

১৯৭৬ সালে ছড়ালেখা শুরু করি তখনই লুৎফর রহমান রিটনের অদ্ভুত হাস্যরসাত্মক ছড়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। সেই থেকে তার ছড়ার নিখাদ ভক্ত আমি। তার ছড়াসমগ্র আছে আমার সংগ্রহে বাইবেলের মতো।

রিটনের ছোটদের কাগজ অসাধারণ একটি ম্যাগাজিন ছিল। আমার দুটি ছড়া প্রকাশ করেছিল রিটন। আমার মানচিত্র কাগজে ১৯৯৬ সালের একটি সংখ্যায় তার একগুচ্ছ চমকে ওঠা ছড়া প্রকাশ করার সৌভাগ্য হয়েছিল। তারপর আরেকটি সংখ্যায় তার দীর্ঘ একটি সাক্ষাৎকার যখন সে টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ছিল। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছিল আরিফুর রহমান মাসুদ ববি। অল্প সময়ের জন্য আমরা তাকে টোকিওতে পেয়েছিলাম, তার বাসায় সময় কাটিয়েছি, আড্ডা দিয়েছি।

তারপর সে হঠাৎ করেই কানাডায় চলে যায়। ব্যস্তজীবনে শেষ দেখাটুকুরও ফুসরৎ পাইনি। ২০১৪ সালে গিয়েছিলাম ঢাকায় একুশে বইমেলায়। তখন রিটনের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সঙ্গে ছিল পিআর প্ল্যাসিড। প্ল্যাসিড ছবিটি তুলে দিয়েছিল।
ষাট উপলক্ষে একটি ছোট্ট ছড়া তাকে উদ্দেশ করে:
ছড়া মানেই রিটন
রিটন মানেই ছড়া
করলে শুরু পড়া
খাবেই তুমি ধরা!

টোকিও ১.৪.২০২১