পত্রিকাগুলো অচেনা লেখকদের লেখা প্রকাশে আগ্রহী হন না ॥ ইমতিয়াজ আহমেদ


মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদ বিধৌত একটি গ্রামে বেড়ে ওঠেন ইমতিয়াজ আহমেদ। একজন কলমযোদ্ধা হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। মফস্বল থেকে কাজ করছেন ঢাকার অনলাইন ও প্রিণ্ট মিডিয়ায়। লেখালেখির প্রতি ঝোঁক ছোট বেলা থেকেই। ফিচার, গল্প, কবিতা লেখেন তিনি। এবারের সাক্ষাৎকার পর্বে পড়ুন তার লেখালেখি নিয়ে।

আলাপচারিতায় ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, গ্রামের বুকে লুকিয়ে থাকা অথচ প্রকাশযোগ্য বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ফিচার লিখতে পছন্দ করেন তিনি। লেখেন কবিতাও। তবে গল্পে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। চেষ্টা করেন নানা অনুভূতি নিয়ে গল্প লিখতে। গল্পের বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে সমসাময়িক ঘটনা, পারিবারিক জীবনের টানাপোড়েন, বলা না বলা ভালোবাসার স্পর্শ ইত্যাদি তার গল্পের বিষয়বস্তু।

বই প্রকাশের অনুভূতি কেমন- জানতে চাইলে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘প্রতি বছরই ঢাকায় অমর একুশে বইমেলায় যাই। বই কিনি। বিভিন্ন স্টলে গিয়ে পৃষ্ঠা উল্টাতাম আর ভাবতাম আমারও একটা বই থাকবে। পাঠক পৃষ্ঠা ওল্টাবে আর পড়বে। যখন প্রথম বই প্রকাশিত হলো- তখন স্বপ্নটা বাস্তব হলো। সেই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।’

ঢাকার বাইরে থেকে সাহিত্যচর্চা নিয়ে তিনি বলেন, ‘মফস্বলের লেখক হিসেবে যান্ত্রিক নগরীর ব্যস্ততার মাঝে নিজের টিকে থাকা নিয়ে সংশয় আছে। শহরকেন্দ্রিক জীবনে শহরের বাইরে বসে সাহিত্যচর্চা অনেক কঠিন কাজ। আর প্রকাশের ক্ষেত্রেও নানারকম বাধার সম্মুখীন হতে হয়। লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে পত্রিকাগুলো অচেনা লেখকদের লেখা প্রকাশে আগ্রহী হন না।’

গ্রামে বসে সাহিত্য চর্চার যারা করছেন, তাদের লেখা পত্রপত্রিকায় আগ্রহ নিয়ে প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।

লেখালেখি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী- জানতে চাইলে ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘তরুণদের জন্য বই লেখার ইচ্ছে আছে। শিশু-কিশোরদের জন্যও। লেখালেখির মাধ্যমে সাহিত্যে একটা জায়গা করে নিতে চাই।’