বিশ্বজুড়ে চলছে কোভিড-১৯ এর দ্বিতীয় ঢেউ। নতুন রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি সমানতালে বেড়ে চলেছে মৃত্যুর সংখ্যা।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ইতোমধ্যে দশ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। করোনায় বদলে গেছে বিশ্ব। বদলেছে মানুষের জীবনযাপন। শিল্প-সংস্কৃতিতেও এর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। এ নিয়ে যােগসূত্রের এ আয়োজন। এবারের সাক্ষাৎকার পর্বে পড়ুন কথাসাহিত্যিক কাজী রাফির লেখালেখি নিয়ে।
যোগসূত্র: লকডাউনে কী পড়ছেন, কী লিখছেন?
কাজী রাফি: এই লকডাউনে (যদিও আমার অফিস পুরোদমে চলছে এবং করোনাকালে কখনো আমি বিরতি পাইনি) পড়ছি নিকোলাই অস্ত্রোভস্কির ‘ইস্পাত’ উপন্যাস। একজন বলশেভিক বীরের জীবন এবং মর্যাদার লড়াই নিয়ে এই উপন্যাস।পাশাপাশি কালি ও কলমের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বর্তমান সংখ্যা।
যোগসূত্র: কীভাবে কাটাচ্ছেন লকডাউনের দিনগুলো?
কাজী রাফি: সকালে ঘুম থেকে উঠে লেখার চেষ্টা করি। যদিও এখন রোজার কারণে সবদিন তা হয়ে ওঠে না। এরপর অফিস। বিকেলে অথবা ইফতারের পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি। সন্ধ্যা এবং রাতের পড়ার সময়টুকু এখন পরিবারের সাথে গল্প-আড্ডায়, চা পানে চলে যাচ্ছে।
যোগসূত্র: কোভিড-১৯ শিল্প-সংস্কৃতিতে কী প্রভাব ফলেছে?
কাজী রাফি: কোভিড ১৯ এর কারণে তো বইমেলা ভালোভাবে হলো না। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোও আর সেভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। মানুষের জীবনে এই করোনা আতঙ্কের পাশাপাশি হৃদয়ের ওপর একটা ভার হয়ে বসে আছে যেন। আমাদের চেতনাকেও তা আছন্ন করে রেখেছে। অন্য কথাশিল্পীদের বেলায় কী হয়েছে বা হচ্ছে জানি না। তবে, আমার লেখায় ভাটা পড়েছে। গভীর মগ্নতার স্তরটুকুতে আমি পৌঁছাতে পারছি না। একটা পুকুরের জলে যেন সারাক্ষণ ঝরে যাওয়া পাতা অথবা কোনো ফলবান বৃক্ষ থেকে পড়ে যাওয়া ফলের কম্পাঙ্ক কাঁপিয়ে দিচ্ছে তার স্থির উপরিভাগ। উপরে-বাইরে-ভিতরে সর্বত্র সেই কম্পন। হৃদয়ের এমন অস্থিরতায় ভালো সৃষ্টি তো হয় না।
যোগসূত্র: কীভাবে করোনা থেকে উত্তরণ সম্ভব?
কাজী রাফি: মাস্ক যদি আমরা সঠিকাভাবে পরিধান করি এবং মানুষে মানুষে দূরত্ব বজায় রাখি, হাত না ধুয়ে অথবা স্যানিটাইজড না করে যদি মুখে হাত না দেই তাহলেই করোনার হাত থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি।