ঈদ মানে হাসি-আনন্দ, ঈদ মানে উৎসবের উদ্বেলতা।পবিত্র রমজানের রোজার শেষে আসে খুশির ঈদ।আর ঈদে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ঈদসংখ্যা বের করে। এই সংস্কৃতি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। ঈদের সাথে ঈদসংখ্যা এখন বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম অনুসঙ্গ।
কথাশিল্পী আবু রুশদের (১৯১৯-২০১০) আত্মজীবনী জীবন থেকে জানা যায়, ৪০–এর দশকে কলকাতায় ঈদসংখ্যা প্রকাশ এবং বিতরণ উপলক্ষে ইফতার পার্টির রীতির কথা, ‘সেই সময় আজাদ কর্তৃপক্ষ ঈদের আগের দিন বেশ সমারোহ করে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করত, যাতে প্রধানত লেখকেরাই আমন্ত্রিত হতেন। সেই উপলক্ষে আজাদ–এর ঈদসংখ্যাও লেখকদের মধ্যে বিতরিত হতো।’এই তথ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আজকের দিনেও ঈদসংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ ঈদসংখ্যা। [সূত্র:সোনালি স্মৃতির ঈদ, পিয়াস মজিদ, প্রথম আলো, ১৩ মে ২০২১]।
তবে সময় পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে ঈদসংখ্যার ধরনও। এখন ঢাউস আকারে বিভিন্ন পত্রিকা ঈদসংখ্যা বের করে। আর প্রযুক্তির উৎকর্ষে এখন সবকিছুই ডিজিটালাইজড হচ্ছে। প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি অনলাইন ম্যাগাজিন, অনলাইন পত্রিকাগুলােও ঈদসংখ্যা প্রকাশ করছে।
বিশেষ করে গত কয়েক বছরে শিল্পসাহিত্যের ওয়েবম্যাগগুলো এ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তারা নিয়মিত ঈদসংখ্যা বের করছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ সংখ্যাও করছে।
এখন চলছে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারি। এই করোনাকালেও ওয়েবম্যাগুলো ঈদসংখ্যা প্রকাশ করেছে। ঈদসংখ্যা প্রকাশের ক্ষেত্রে এবার কয়েকটি ওয়েবম্যাগ এগিয়ে রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চিন্তাসূত্র, কাব্যশীলন, গগন হরকরা, তীরন্দাজ, পরস্পর, সংক্রান্তি, যােগসূত্র, ইরাবতী, নান্দিক, উঠোন।
এবার ওয়েবেম্যাগের ঈদসংখ্যাগুলোতে কন্টেটের বৈচিত্র্য বেশ লক্ষ্যনীয়। প্রবন্ধ,নিবন্ধ, গদ্য, লেখকের প্রিয় গল্প, গল্প, শিল্পভাবনা, সাক্ষাৎকার, কবিতাম ছড়া, গান, স্মৃতিকথাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দারুণ সব আয়োজন করেছে।