তৈল কর্ম
তেল কম পড়লে রুক্ষ,
আর বেশি হলে চিটচিটে।
কি শরীরে, কি খাবারে, ব্যবহার যেখানেই হোক,
তেলের পরিমাণটা যথাযথ না হলে কোনটাতেই ঠিক কাজে আসে না।
তেলবাজিটাও বেশি করলে উপচিয়ে পড়তে পড়তে, হিতে না বিপরীত হয়ে যায়।
তখন আমও যাবে, যাবে ছালাটাও।
প্রবাদ- প্রবচনগুলোতো আর এমনি এমনি হয়নি, ঘটনার প্রেক্ষিতেই উদ্ভব;
অন্তর্শিক্ষাটাও প্রতিটা চরণে গভীর।
তাই, ‘অতি বাড় বেড়ো না, ঝড়ে পড়ে যাবে’।
মনে রেখো,
‘পরের জন্য খোঁড়া গর্তে নিজেকেই পড়তে হবে।’
সুতরাং, ‘সাধু সাবধান।
বুঝিয়া কর তৈল কর্ম, নইলে সবই বিফলের বর্ম’।
স্বাভাবিক দিন
কেমন কাটছে দিন?
প্রশ্ন করলেই উত্তর আসে-
আর কেমন কাটবে, এই করোনাকালে!
চারপাশ নীরব, নিশ্চুপ গেলো মাস দু-য়েক,
এরপর আবার ছুটোছুটি, অনেকটাই স্বাভাবিক।
সত্যি কি স্বাভাবিক! কেটে গেছে কি করোনা দুর্যোগ?
সংশ্লিষ্টরা উত্তর দেবেন কি সাফ,
আমরা কি মহামারি করোনা ঝুঁকির বাইরে?
বানের জলে ধুয়ে গেছে কী ভাইরাসের বাপ?
সহসা ফিরবে কী সেই দিন,
একসাথে হাসি-খুশির সেই সময়,
আসবে কি সহসা,
স্বাভাবিক দিন…।