জীবন-মায়ার সন্ধি ॥ জিল্লুর রহমান প্রামাণিক


জীবন-মায়ার সন্ধি

জীবনকে বেশি প্রশ্রয় কেনো দেবো ?
ওম পেলে ডিমের কুসুমের মতো
ধার করা পরানের গহীনে বসতি তুলে।
যাবার সময় হলে চোখের জলেও তাকে ধরে
রাখা যায় না! মায়া কেবলই মায়া।

বিজুলির চমকে আর নীল চন্দনের সুবাসে
আমি নিজেকে হারাই অন্তহীন অন্তর্দাহে-উত্তরকালের
বিভাবিত শূন্য বিবরে
ছায়ার সাথে আরেক অনুকৃত দীঘল ছায়ার
বিমূর্ত মায়ার সন্ধি
দিবসের শুরু থেকে বিলয়ের বিকম্পিত স্পর্ধিত যাত্রা
জীবন তো আর মাত্রা বুঝে না।
কালের সুরধ্বনি চিরপিপাসার অঞ্জলি হাতে
মুক্তি খুঁজে জীবন মহাকালের নিঃসীম নির্জন
নিস্পন্দ নীল গহ্বরে।

জীবন কেবল মায়াই খুঁজে- মায়া-কেবলই মায়া।
পাখির মতো আসমানে উড়ার মায়া
দুর্নিরীক্ষ্য আসমানির শ্যামসুষমার আড়ালে
শূন্যে ভাসমান কাজল মেঘের ছায়া
অনিরুদ্ধ ধবল ঘোড়ার মায়া
জীবন সে তো নক্ষত্রের মতো-মাটিতে আছড়ে পড়ে
হারিয়ে যাওয়ার মায়া।
নিষ্প্রাণ মৃত্তিকার বুকে অভিমানী চন্দকান্তির মায়া!
ভোরের না ফোটা আলোয় অজানা অনুরাগে
শেফালির ঝরে পড়ার মায়া!
নারীর উজর উরজে শিশুর কুদরতি মুখের মায়া
জীবন থাকেনা কখনো বন্দী দুর্জ্ঞেয় তিমির কাননে।