হায়াৎ মামুদ: একজন গপ্পোবাজ মানুষ ॥ আহমাদ মাযহার


মানুষটা গপ্পোবাজই তো! যা কিছু তিনি ছোটদের জন্য লেখেন তার সবই তো আসলে গপ্পো। সেই কোন আমলে, ১৯৬৭ সালে, বাংলাদেশের ছোটদের কাছে রবীন্দ্রনাথের গপ্পো করেছিলেন। ছোটবেলায় আমরা সেটা পড়েছিলাম না যেন গিলেছিলাম। সেই যে ছোটদের জন্য তিনি রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে লিখলেন তার পর থেকে তাঁর নামের সঙ্গে ভালোবেসে শিশুসাহিত্যিকের তকমা লাগিয়ে দিয়েছেন বন্ধুরা। দেবেন না! কী যে মন-কেমন-করা ভালোবাসায় মাখিয়ে যে সেই গপ্পো তিনি লিখেছিলেন সে কথা বলে শেষ করা যাবে না। কবি রবীন্দ্রনাথের কত জীবনীই তো কত লেখক লিখেছেন। তার মধ্যে অনেকগুলোই বেশ ভালোও। ভালো এই অর্থে যে, রবীন্দ্রনাথের জীবনের যে সব কথা সবার জানা থাকা দরকার তা বইগুলোতে হাজির আছে।

সেগুলোও কম দামি নয়! কিন্তু হায়াৎ মামুদের ‘রবীন্দ্রনাথ : কিশোর জীবনী’র কথা আলাদা। বইটার অবস্থা সেরের ওপর সোয়া সের। এই যে ‘সোয়া’ অংশটি–এটুকু যোগাড় করে দেয়া রীতিমতো কঠিন ব্যাপার। রবীন্দ্রনাথের জীবনের গপ্পো করতে গিয়ে এমন একটা গভীর অনুভূতি তিনি সৃষ্টি করেছেন যা উপলব্ধি করাও সহজে সম্ভব নয়। আর হাঁ, এ-কথা তাই স্পষ্ট করেই বলতে হবে যে, রবীন্দ্রনাথের জীবন ও কর্মের বিচিত্র দিক নিয়ে লেখা অনুভূতিময় একটা গপ্পো হচ্ছে ‘রবীন্দ্রনাথ: কিশোর জীবনী’ বইটি! রবীন্দ্রনাথের জীবনের প্রাণভোমরাটিকে যেন ধীরে ধীরে পরতের পর পরত খুলে বের করে এনেছেন তিনি। ১৯৮৩ সালে আরো কিছু দরকারি কথা যোগ করে আরো আকর্ষণীয় করে তুলেছিলেন তিনি ঐ বইটিকেই। পরেও রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে আরো একটি গপ্পোবাজির বই লিখেছিলেন তিনি। ১৯৮১ সালে প্রকাশিত সেই ছোট্ট বইটার নাম ‘রবীন্দ্রনাথ’। কম কথায় রবীন্দ্রাথের গোটা জীবনেরই গপ্পো বলেছিলেন সে বইয়ে। ১৯৯১ সালে ও-রকম করেই লিখেছিলেন লালন সাঁইকে নিয়ে আরেকটি বই ‘লালন সাঁই’ নামে।

একেবারে কম তো নয় রবীন্দ্রনাথের জীবনের দৈর্ঘ্য! বেঁচেছিলেন আশি বছর। কাজও করেছিলেন অজস্র! বই লিখেছিলেন একশোরও বেশি। এর মধ্যে রয়েছে কত রকমের লেখা। কবিতা, গল্প, নাটক, ব্যকরণ, আত্মজীবনী, ভ্রমণকাহিনি, ইতিহাস, সমাজ, রাজনীতি, বিজ্ঞান এবং সাহিত্যের নানা দিক নিয়ে অজস্র প্রবন্ধ তিনি লিখেছেন, ছোটদের জন্যও লিখেছেন আলাদা করে বই, তাঁর লেখা চিঠির সংখ্যা দেখলেও মাথা খারাপ হয়ে যায় আমাদের! রচিত গানের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। আঁকা ছবির সংখ্যাও তেমনি! গড়ে তুলেছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে পড়েছে ছোট্ট শিশুরা যেমন তেমনি উঁচু ক্লাসের ছাত্ররাও। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নয় সেটি। আলাদা এর দৃষ্টিভঙ্গি, শিক্ষা পদ্ধতিও আলাদা! সব রবীন্দ্রনাথের নতুন ভাবনা! সে-রকম একটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা তো আর যে সে কথা নয়! সেখানেও কত কাজ তাঁকে করতে হয়েছে! সবচেয়ে বড় ও কঠিন কাজ হচ্ছে এমন ব্যতিক্রমী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য টাকার যোগাড় করা। তার জন্যও তো তাঁকে ছুটতে হয়েছে দেশ থেকে দেশে। সামান্য করে বললেও তো অনেক সময়ের দরকার! জমিদারীর কথা তো বললামই না! তারওপর রবীন্দ্রনাথ মানুষটি ছিলেন কত মহান! মানবিকতার উচ্চ দৃষ্টান্ত! সে-কথা মনে রেখে এত সবকিছুকে একসূত্রে গেঁথে গপ্পো করা তো আর চাট্টিখানি কথা নয়! অথচ তিনি যেন অনায়াসেই লিখে ফেলেছেন সেটা। তা-ই তো হবে! একটা দীর্ঘ জীবনের পুরোটা যাঁর খুব ভালো করে জানা তিনিই তো অল্প কথায় সেটা সহজ করে অন্যদের উদ্দেশে বলতে পারবেন! হায়াৎ মামুদের গপ্পোবাজ হওয়ার সবচে বড় সুবিধেই হচ্ছে এটা।

পঁচাত্তর বছর তো আর এমনি এমনি পার করেননি হায়াৎ মামুদ! সেই ছোটবেলা থেকেই ভীষণ পড়ুয়া। বাড়িতে তাঁর ব্যক্তিগত সংগ্রহ দেখলে ঈর্ষা হয় অন্যদের। বড়দের জন্যই তাঁর লেখা বেশি। পিএইচডি করেছেন বাংলাভাষায় ইয়োরোপীয় ধারার প্রথম নাট্যকার গেরাসিম স্তেপানোভিচ লেবেদেফের ওপর। যিনি রুশদেশ থেকে এসেছিলেন বাংলাদেশে। অথচ নাটক লিখেছিলেন বাংলায়। ইয়োরোপীয় আদর্শে। বলা যায় তাঁর জীবন ও কর্মকে বাঙালিদের কাছে নতুন করে বিস্তারিতভাবে আবিস্কার করেছেন হায়াৎ মামুদ। সে-সব কথা এখানে থাক। বলা যাবে পরে কোনো কে সময়! লেবেদেফ যেমন রুশদেশ থেকে বাংলায় এসেছিলেন তেমনি হায়াৎ মামুদ গিয়েছিলেন বাংলা থেকে রুশদেশে। রুশভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করতে। রুশ ভাষা থেকে কত যে অনুবাদ তিনি করেছেন! বেশিরভাগই বড়দের জন্য। তবে ছোটদের জন্য রুশীয় লেখক আলেক্সান্দার কুপ্রিনের ‘হাতি’র (১৯৭৫) কথা মনে না রেখে পারা যায়? আরেক রুশীয় লেখক তাতিয়ানা মাকারোভার ‘বাহাদুর পিঁপড়ে’ (১৯৭৭) নামের রূপকথার মনোলোভা অনুবাদের কথা কে ভুলতে পারে! এই দুই অনুবাদেও কী গপ্পোবাজিটাই না তিনি করলেন। আজকাল অনেকেই সেগুলো খুঁজে খুঁজে নতুন করে পড়ে নিচ্ছেন। তবে আমরা এখানে তাঁর যে-কাজের জন্য সুখ্যাতি করছি সেই কাজে, মানে ছোটদের লেখায় কিন্তু খুব বেশি সময় তিনি দিতে পারেন নি।

হায়াৎ মামুদকে ছোটদের জন্য গপ্পোবাজ মানুষ কেন বলেছি তার একটু আভাস আগে দিয়েছি। এবারে একটু বিস্তার করে দেখাই কেমন করে তিনি গপ্পোবাজ। ১৯৬৭ সালে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যে গপ্পো তিনি করেছিলেন তার পর থেকে তাঁর ওপর ফরজ হয়ে গিয়েছিল নজরুলকে নিয়েও ওরকম একটা বই লেখা। বাংলাভাষায় নজরুলের মতো এমন ব্যতিক্রমী ঘটনাবহুল মানুষের জীবনকে ছোটদের কাছে তুলে না ধরলে কী করে চলে! রবীন্দ্রনাথের মতো অত বেশি না হলেও নজরুলকে নিয়েও অনেকে ছোটদের জন্য লিখেছেন। কিন্তু সবাই তো আর গপ্পোবাজিতে হায়াৎ মামুদ নন। হায়াৎ মামুদ নিজেই একদিন বলেছিলেন, বাংলা একাডেমির সে সময়কার মহাপরিচালক মনজুরে মওলার তাগিদে নজরুলকে নিয়েও ফাঁদলেন গপ্পো। নাম ‘নজরুল’। সেটাও অনেক দিন আগের কাহিনি, সেই ১৯৮৩ সালের কথা। প্রথমবার বাংলা একাডেমি বের করলেও পরে ছোটদের কাছে বইটি হাজির করে চলেছেন প্রতীক প্রকাশনা সংস্থা।এবারে কিছু নতুন কথা যেমন যোগ হয়েছে তেমনই বদলেছে নামটিও! এবারে নাম হয়েছে ‘নজরুল ইসলাম: কিশোর জীবনী’। রবীন্দ্রনাথের তুলনায় নজরুলের কর্মজীবন অনেক ছোট। কিন্তু অনেক ঘটনার ঘনঘটা যে তাঁর জীবনে! সব কথা কি আর গপ্পে গপ্পে বলে শেষ করা যায়! রবীন্দ্রনাথ: কিশোর জীবনী’র তুলনায় আয়তনে ‘নজরুল ইসলাম: কিশোর জীবনী’ একটু বড়ও হলো। নজরুলকে নিয়েও ছোট্ট বই লিখেছিলেন আরেকটি, লিখেছিলেন জসীম উদ্‌দীনকে নিয়েও।

শুধু যে দেশী মনীষীদের নিয়ে গপ্পো করেছেন তা নয়। ছোট্ট করে গপ্পো করেছেন গ্রীককবি হোমার, ইতালীয় কবি দান্তে এলিগিয়েরি, স্পেনের লেখক মিগুয়েল্ দে থের্বান্তেস, ইংল্যান্ডের উইলিয়াম শেক্সপীয়র, জার্মানীর কবি ইওহান হ্বোল্ফ্গাঙ্ ফন্ গ্যোয়টে, ডেনমার্কের হান্স ক্রিস্টিয়ান্ আনের্সেন্, আমেরিকার এডগার এলান পো, রুশদেশের লিয়েফ্ তলস্তোয়কে নিয়েও। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, লালন সাঁই, জসীমউদ্‌দীন। বিদেশী লেখকদের নিয়ে লেখা ছোট্ট ছোট্ট গপ্পোগুলোকে একত্র করে একটা আস্ত বইই বেরিয়েছে তাঁর ‘কিশোর জীবনী সমগ্র’ নামে ২০১২ সালে। এর মধ্যে মনীষীদের জীবনকথা নিয়ে গপ্পোবাজ হায়াৎ মামুদকে পাওয়া যাচ্ছে চমৎকারভাবে।

‘লাল মৃত্যু’ (১৯৭৮), ‘শার্ল পেরোঁর কথামালা’ (১৯৯০), ‘মৎস্যকন্যা’ (১৯৯১), ‘দত্যি জলের মাছ’ (১৯৯২)–এই যে বইগুলোর নাম করলাম সবগুলোই তাঁর অনুবাদ রচনা। নাহ, শুধু তা বললে তো চলবে না। অনুবাদগুলোও গপ্পোবাজের কথকতা হয়ে উঠেছে। এমনি এমনি তো আর তা হয়নি। হান্স আনেরসেনের ৪টি গল্প দিয়ে ‘মৎস্যকন্যা’ বইটি গড়ে উঠেছে। আর ‘জাদুকরের ভেঁপু’ (১৯৯০) বিখ্যাত জার্মান রূপকথার স্বাধীন বাংলা রূপান্তর! এই যে স্বাধীন বাংলা রূপান্তর বললাম এখানেই লুকিয়ে আছে তাঁর গপ্পোবাজ সত্তাটি! তিনি নিজেই বলেছেন বইয়ের ভূমিকায় যে, ‘নবরূপায়ণে আমি আমার অধীত বিদ্যা ও কল্পনার আশ্রয় নিয়েছি।’ আমরা বুঝতেই পারছি যে গপ্পোবাজ না হলে ‘অধীত বিদ্যা’ আর ‘কল্পনা’র আশ্রয় নেয়া যায় না। সকলেরই জানা আছে রাশি রাশি বই পড়েই কেবল নয়, জীবনের নানা ঘাট পেরিয়ে মানুষ বিদ্যালাভ করে। সেই মানুষই গপ্পোবাজ হয়ে উঠবার সামর্থ্য অর্জন করতে পারেন পড়াশোনা আর অভিজ্ঞতা এই দুইয়ে যাঁর সচেতন ব্যক্তিসত্তা সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। এই রকমই তাঁর রূপান্তর-পুনর্কথনমূলক রচনা পৃথিবীর আদিতম মহাকাব্য গিলগামেশের গল্প ‘গিলগামেশ’ (২০১১)।

শুধু এই বইগুলোতেই নয়, আরো অনেক মহান সাহিত্যের গপ্পো তিনি একেবারে ছোটদের জন্য বলবার চেষ্টা করেছেন। যেমন শেক্সপীয়রের টেম্পেস্ট, কমেডি আব এররস, টুয়েল্ফ্থ্ নাইট, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, অ্যাজ ইউ লাইক ইট, এ মিড সামার নাইটস্ ড্রিম–উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের এইসব মহান নাটকের গপ্পো তিনি ছোটদের কাছে মজাদার করে তারিয়ে তারিয়ে বলেছেন।

হায়াৎ মামুদের পাণ্ডিত্যের আরেকটি দিক রয়েছে। সেটা হচ্ছে বাংলা ব্যকরণ। বিশেষ করে বাংলা বানান নিয়ে লেখালেখি। বড়দের জন্য তাঁর নানা ধরনের বইয়ের মধ্যে এই দিকটিও বিশেষ। ছোটদের জন্যও তেমনি। গপ্পোবাজি তিনি বাংলা শব্দ, বানান আর উচ্চারণ নিয়েও করেছেন। ‘শব্দকল্পদ্রুম’ (২০০৯) এমনি একটি বই। ছোটরা কতো রকমের সমস্যায় পড়ে লিখতে গিয়ে। স্কুলের শিক্ষকদের কাছে সব সময় জিজ্ঞাসা করবারও সময় পাওয়া যায় না। খানিকটা তাদের কথা মাথায় রেখেই বানান, উচ্চারণ, অর্থ ও ব্যকরণের খুঁটিনাটি নিয়ে তিনি এই গপ্পোবাজি করেছেন। বাংলা ভাষাতে এ ধরনের বই বেশি নেই! মজা করে জীবন থেকে দৃষ্টান্ত দিয়ে দিয়ে এই বিষয়গুলোকে বুঝিয়ে দিতে চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু এখানেও রচনারীতিতে তিনি গপ্পোবাজই!

তাঁর লেখা ছোট্ট আরো দুটি গপ্পের বইয়ের কথা বলে না নিলে গপ্পোবাজ হায়াৎ মামুদের গপ্পো জুৎসই হবে না। একটা বইয়ের নাম ‘রোদেলার পরী দেখা’ (২০০০), অন্যটি ‘বাহান্নোর সেই ছেলেটি’ (২০০১)। প্রথম বইটি সাজানো হয়েছে বিভিন্ন সময় ছোটদের জন্য নানা জনের অনুরোধে লেখা কিছু রচনা নিয়ে। এই ধরা যাক সেসবের উপজীব্য কখনো রবীন্দ্রনাথ-নজরুল, কখনো একুশে ফেব্রুয়ারি, কখনো স্বাধীনতা দিবস বা বিজয় দিবস, কখনো বিষয় দেশপ্রেম। একটা লেখায় সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনা। কিন্তু সবগুলোই আড্ডায় বসে গপ্পো করার মতো বলে যাওয়া। কারণ ঐ যে বলেছি ছোটদের জন্য লিখতে গিয়ে তিনি সবসময় গপ্পোবাজের সত্তাটিকে জাগিয়ে রাখেন। রাখবেন না! ছোটবেলায় তাঁর জ্ঞান অর্জনের যে সূচনা ঘটেছিল বড়দের কাছ থেকে গপ্পো শুনতে শুনতে! সে-কথা কি তিনি ভুলতে পারেন!

আরেকটা কথা এখানে স্পষ্ট করে না বলে নিলে চলবে না। সেটা হলো তাঁর সব গপ্পোবাজিতে সবসময় দেখেছি বড় করে তোলা হয়েছে মানবিকতাকে। অসম্প্রদায়িক চেতনাকে। মানুষ তো আগে মানুষ। সেই যে বাংলার মধ্যযুগের কবি বলেছিলেন ‘সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই’ — এই কথাটা ভুললে চলবে কী করে। হায়ৎ মামুদ কখনো ছোটদের ভুলতে দেননি সে কথা। মানুষের প্রতি ভালোবাসাকে তাই জাগিয়ে রাখতে চেষ্টা করেছেন তাঁর সবরকমের গপ্পোবাজিতে। কী করে তা করেছেন তিনি! না, এমনি এমনিতে তো আর মানুষ তা পারে না যদি নিজের অন্তরের মধ্যে মানুষের জন্যে অসীম ভালোবাসা জেগে না থাকে!

ছোটদের জন্য হায়াৎ মামুদের লেখালিখি নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে লক্ষ করলাম পরিমাণে সেগুলো বেশি নয়! অল্পেই ফুরিয়ে গেল। মুড়িয়ে গেল নটে গাছটি। কী আর করব–আমার বিদ্যাও যে অল্প! গপ্পোবাজ হিসেবে তো আমি আর হায়াৎ মামুদ নই! তাঁকে নিয়ে গপ্পোবাজি তাই আমারও ফুরোল অল্পেই। এখন তাহলে নটে গাছটির আবস্থা যে কী হলো তা তো বোঝাই যাচ্ছে!

রচনাটি লিখেছিলাম ২০১৫ সালে, হায়াৎ মামুদের কোনো এক সংবর্ধনা গ্রন্থের জন্য! পরে এটি আমার শিশুসাহিত্য বিষয়ক প্রবন্ধ-সংকলন ‘বাংলাদেশের শিশুসাহিত্য: মনন ও মনীষা’ (২০১৯) বইয়ে অন্তর্ভুক্ত। হায়াৎ ভাইকে জন্মদিনের (২ জুলাই) শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আমার পুরোনো লেখাটি দিয়েই।

[ লেখাটি লেখকের ফেসবুক থেকে নেওয়া। ]