একেকজনের একেক রকম স্বপ্ন থাকে। সে স্বপ্ন পূরণ হোক বা না হোক, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া একটা আনন্দ। তার উপরে কোনোরকম বাস্তবতার কঠিন হিসাব নিকাশ চলে না। কেউ বিদ্রুপ করলে সমস্যা নাই, অনিবার্য আঘাত এলেও সমস্যা নাই। এখানে জয়ের সম্ভাবনা না থাকলেও আকাঙ্ক্ষা থাকে শতভাগ।
কারোর প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হবার আকাঙ্ক্ষা, কারোর বা অনেক বড় নেতা হবার স্বপ্ন, কারোর থাকে অনেক কিছু নিজের করে রাখার বাসনা। আমার আসলে কিছুই হবার আকাঙ্ক্ষা হয়নি কখনও। তাই হয়নি। ‘ইসমত শিল্পী’- এই নামটা ছাড়া আর কিছুই নেই আমার। এইটুকুই আমি, তা যা-ই হই।
শুভাকাঙ্খীরা বকাঝকা করেন, আমার পেশাটা ঠিক রাখার জন্য। অগ্রজরা আক্ষেপ করে উঠেন, ইনকাম ট্যাক্স প্র্যাকটিস করে একটা গাড়ি করতে পারলে না! এটা তো দরকারি। বিশেষ করে কাজের জন্যে।
-আমার আসলে এরকম আকাঙ্ক্ষা হয়নি; বড়লোক হবার, তাই হয়নি।
মনে মনে উচ্চারণ করে দ্রুত সরে আসি।
কী এক তাড়নায় অস্থির হয়ে উঠি। পরিস্থিতি আমাদের আটকে রেখেছে তবুও বেশ কিছু কাজ এগিয়ে চলছে, এটাই সুখের। বই সংগ্রহ চলছে। পাশাপাশি কিছু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ।
সবাই পড়াশোনা করবে, অনেক বই থাকবে সেখানে। শিশু-কিশোর তরুণ সব প্রবীণদের একসাথে একটাই সমাজ হবে। এইটাই আমি স্বপ্ন দেখি। আমি সরাসরি না দেখলেও দৃষ্টি দিয়ে এটাই দেখবো। মারা যাবার পরেও হয়তো এইটাই দেখবো, এই-ই আকাঙ্ক্ষা।
সকলে পাশে থাকলে এইটা নিশ্চয় পারা যাবে। শুরু যখন হয়েছে, বাকিটা সময় বলে দেবে। বিশেষ কিছু পরিকল্পনা আছে, দেখা যাক কি হয়। শুভকামনা প্রত্যাশা করতে তো পারিই, নাকি।
লেখক: কবি, সম্পাদক নান্দিক