সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মধ্যে অনেক সাদৃশ্য আছে। দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণকেও সংগ্রাম করে মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হয়েছে। দেশটির সাহিত্যও যথেষ্ট সমৃদ্ধ। সাহিত্য-সংস্কৃতি বিনিময় হতে পারে পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধন দৃঢ় করার অন্যতম মাধ্যম। সেজন্য বাংলা ভাষার উল্লেখযোগ্য বইগুলো কোরিয়ান ভাষায় অনুবাদের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বাংলা একাডেমির অনুবাদ বিভাগ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সোমবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীতে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
লিটারেচার ট্রান্সলেশন ইনস্টিটিউট, কোরিয়ার সহযোগিতায় প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান উজান প্রকাশিত দুটি অনুবাদ গ্রন্থ ‘কোরিয়ার কবিতা’ ও ‘কোরিয়ার গল্প’ নিয়ে আয়োজিত ‘উজান বই আলোচনা প্রতিযোগিতা ২০২১’ এর পুরস্কার বিতরণ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ‘কোরিয়ার কবিতা’ বইয়ের অনুবাদক ছন্দা মাহবুব, ‘কোরিয়ার গল্প’ বইয়ের অনুবাদক ষড়ৈশ্বর্য মুহম্মদ, প্রতিযোগিতার বিচারক কবি সোহেল হাসান গালিব এবং অনুবাদক শিউলি ফাতেহা।
অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বই আলোচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ী তিনজন এবং নির্বাচিত দশজনের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।