রাস্তার জল ॥ হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়


১. রাস্তার জল

রাস্তা থেকে এখনও যেসব জল ছিটকে আসে
মঞ্চে তার আসনের ফাঁকে ফাঁকে ঝড় ওঠে
কথা দিয়েছিল যারা তার সামনে মুখের সারি হবে
তারা অনেকেই নিজস্ব অলিগলিতে ঝড় নিয়ে ব্যস্ত

অনেকেই ভুলে যায় হাঁটা দূরত্বে তাদের ছাউনি
ঝড় উঠলে তাদের মাথার চুলও এলোমেলো হয়ে যায়
তবুও দিনের শেষে ভাগের অনুপাতে রক্ত ঝরে
কোথায় নিয়ে গিয়ে তুলবে তুমি দু-হাত জড়োর আসবাব?

দাঁড়াবার মাটি কাদাজলে গুলে গেলে
মাথা সব গাঁট গুনে গুনে ফুলে ফুলে ওঠে।

২. পুবের গান
কাড়াকাড়ি করে যে বসার জায়গায়
তুমি ছাপ দিলে তা কতক্ষণের জন্যে?
পুবের দেশ থেকে পাখির দল উড়ে আসছে
তাদের গানের সুর তোমার জানা আছে?

প্রতিদিনের জন্যে ঠিক করা একটি বাঁশি
তার সুরেই গাঁথা সকাল সন্ধের বিন্যাস
তবুও এক সুরেই কাজ চালানো হাতের মুঠো
আসনের চারপাশে বেঁধে দেয় নিজস্ব রঙের সমীকরণ

বসার জায়গা নয়, ক্ষনিকের জন্যে দাঁড়িয়ে যাওয়া
পাখিমুখে পুবের গান ভেসে এলে
শুরু হয়ে যাবে বৃন্তজুড়ে নতুন সকালের আয়োজন ।

৩. বাড়ির রঙ
উঠোনে দাঁড়িয়ে
মুখে যা উচ্চারিত হয়
সেটাই বাড়ির আসল রঙ

জানি সবাই
কিন্তু দরজা খুলে
উঠোনে নামে না কেউ
চারপাশের
জানলা দিয়ে
সবাই উঁকিঝুঁকি মারে

দরজা খুলল?
কেউ বাইরে এলো?
উঠোন দেখছে না তো কেউ?
এসব চর্চাতেই
সকাল থেকে সন্ধে
সব বাড়ি তাই একরঙা