আমাকে মূল্যায়ন করেছেন, আমিও গর্ববোধ করছি: অনীক মাহমুদ


অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখছেন অনীক মাহমুদ।‌ ছবি: যোগসূত্র

ড. অনীক মাহমুদ বলেছেন, ‘জীবনে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। অনেক পুরস্কার সম্পর্কে নানা কথা শুনেছি। কিন্তু চিন্তাসূত্র পুরস্কার সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। এখানে কোনো তদবির, সুপারিশের কোনো গুরুত্ব নেই। এই কমিটির আহ্বায়ন ড. রকিবুল হাসান ও সদস্য সচিব ইসরাফিল হোসেন যখন আমাকে পুরস্কারের বিষয়টি জানালেন, তখন আমি অনেকটাই বিস্মিত হয়েছি। ইসরাফিল হোসেনকে আমি কখনোই চিনতাম না। ড. রকিবুল হাসান ছাড়া কারও সঙ্গে আমার কোনো পরিচয়ই ছিল না। অথচ তারা আমাকে পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। আর ওয়েবম্যাগ চিন্তাসূত্র ইতোমধ্যেই দেশের প্রধান অনলাইন সাহিত্য পত্রিকা হিসেবে সবার হৃদয়ে ঠাঁই করে নিয়েছে।সব মিলিয়ে এই পুরস্কারটি আমার কাছে অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। সে কারণে আমি মনে করি, এই পুরস্কার দিয়ে আপনারা আমাকে যেমন মূল্যায়ন করেছেন, তেমনি আমিও গর্ববোধ করছি।’

শুক্রবার (২১ জানুয়ারি ২০২২) বিকেলে চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ পুরস্কার গ্রহণের পর অনুভূতি প্রকাশ পর্বে এসব কথা বলেন তিনি।

এবার চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- প্রবন্ধে ড. অনীক মাহমুদ, কবিতায় মাহমুদ কামাল ও কথাসাহিত্যে রুম মোদক।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামে ‘ইনশা অ্যাগ্র অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মনোনীতদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ, উত্তরীয় ও নগদ অর্থ তুলে দেন প্রধান অতিথি কবি-প্রাবন্ধিক-গীতিকার-মুক্তিযোদ্ধা আবিদ আনোয়ার।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট গবেষক বিলু কবির। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল আলম প্রধান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২১-এর সদস্য সচিব ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসরাফিল হোসেন। সঞ্চালনা করেন কথাসাহিত্যিক ও নর্দান বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক শারমিন সুলতানা তন্বী ও আবৃত্তিকার ইকবাল আহমেদ নিশাত।