কবি মাহমুদ কামাল বলেছেন, ‘আমিও জীবনে অনেক পুরস্কার-পদক পেয়েছি। কিন্তু চিন্তাসূত্র পুরস্কার একদমই আলাদা। চিন্তাসূত্রের সম্পাদক অধ্যাপক ড. রকিবুল হাসান আমার বহুবার দেখা হয়েছে। কিন্তু পুরস্কার কমিটির সদস্য সচিব ইসরাফিল হোসেনের সঙ্গে কখনোই দেখা হয়নি। এছাড়া কমিটির আর কারও সঙ্গেই আমার কখনো দেখা হয়নি। অনেকের সঙ্গে পরিচয়ও নেই। অথচ তারা আমাকে কবিতায় পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছেন। এজন্য ড. রকিবুল হাসান, ইসরাফিল হোসেনসহ সবাই ধন্যবাদ জানাই। আর একটি কথা। এই পুরস্কার ও চিন্তাসূত্র ওয়েবম্যাগ, এসব ঘটনার নেপথ্যে যে মানুষ রয়েছেন, তাকে মঞ্চে কিংবা মঞ্চের আশেপাশে কোথাও দেখা যায় না। হয়তো কোথায় চুপচাপ আছেন। আমি দেখতে পাচ্ছি না। তিনি মোহাম্মদ নূরুল হক। তার সঙ্গে আমার কখনোই দেখা হয়নি। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি ২০২২) বিকেলে চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ পুরস্কার গ্রহণের পর অনুভূতি প্রকাশ পর্বে এসব কথা বলেন তিনি।
এবার চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ তিন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- প্রবন্ধে ড. অনীক মাহমুদ, কবিতায় মাহমুদ কামাল ও কথাসাহিত্যে রুম মোদক।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামে ‘ইনশা অ্যাগ্র অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে’ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মনোনীতদের হাতে পুরস্কারের ক্রেস্ট, সম্মাননা সনদ, উত্তরীয় ও নগদ অর্থ তুলে দেন প্রধান অতিথি কবি-প্রাবন্ধিক-গীতিকার-মুক্তিযোদ্ধা আবিদ আনোয়ার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট গবেষক বিলু কবির। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল আলম প্রধান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন চিন্তাসূত্র সাহিত্য পুরস্কার-২০২১-এর সদস্য সচিব ও নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ইসরাফিল হোসেন। সঞ্চালনা করেন কথাসাহিত্যিক ও নর্দান বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক শারমিন সুলতানা তন্বী ও আবৃত্তিকার ইকবাল আহমেদ নিশাত।