মনব্যাগ
আমাদের তুলে নিতে কোনদিনই
শেষ বিকেলের ট্রেনটা আসবে না,
তবুও খুব উদ্বেলিত মন নিয়ে গুছিয়ে নেই এমনতর সব সকাল।
মনে করে সযত্নে তুলি মনব্যাগে টুকরোকাটা সব ভালোলাগাদের,
রক্তহিম করা এক জীবনের সবচেয়ে মধুরতর সব কথাদের।
অল্প জানার বা শোনার এসব জংশনগুলো তাই জনশূন্যই থাকে বারবার।স্বল্প অন্ধকারের গহীনে সেসব দিনের উদ্বিগ্ন বাতাসেরা খেই হারিয়ে ফেলে, যেসব বাতাসেরাই শুধু ছুঁয়ে যায় নিঃশর্ত ঋণে। ঝরছে এমন হিমঝরা ধূসর ভোরে কুয়াশারা, কুঁকড়ে নীরবে পাতারা আরও কিছুদিন থাকবার লোভে প্রাণপন আঁকড়ে ধরে বৃক্ষদের।
তাদের মতন টের পাই একজীবনে লেখা হলো না কাঙ্খিত কোন কবিতা।হলো না একাকিত্বের মলিনতা জমা যাতে,
ধুয়ে যায় নির্দ্ধিধায় অজান্তে জমে যাওয়া এতটুকু অহংয়েরা।
ডেকো না কখনও-হয়তো খুব কাছে কোথাও নিঃশ্বাস ঠিকই পড়বে, জানবে না কোন ভোরের পাখি, কোথায় হারিয়েছে তার নাকছাবি।
খুঁজছে অতলে, তলে ঠিকানাহীন কোন জনপদে।
অথচ মল্লিকারা ফুটেছিল তার সবটুকু রঙ নিয়ে। ঐ যে, একটু দূরে বয়ে চলা নদীটা জানে, চোখের এ পারের সেতু সে ওপারের সেতুতেই কতটা শক্ত করে বেঁধেছিল।
মেলেছিল কলমী তার বেগুনি, নীলে জীবনের জয়গান।
এমনই একই ভোরে ওখানে, এখানেও কাঞ্চনজঙ্ঘার পাড় ভাঙা সকালে।তবুও বলে উঠি,
আহা! কী যে, সুন্দর আজ এ সকাল।