নির্জনমগ্ন পাট
কেমন অদ্ভুত এক অচেনা মন্থর আকাশ আজ,
ডাহুকীর চোখে ঘোলা বিষণ্ণতা,
তোমাকে ভাবলেই ভাসানের ডাকে ভেসে যায় ঘর,
নদী ভেঙে মিলিয়ে যায় জনপদ ! জলরেখা !
তুমি কি জানো কতদূর চলে গেছে পথ অযত্নে ঘাসের আড়াল ?
আমাদের পা’ জোরাছাপে লিখেছিলো সে পথের ধ্যান !
মগ্নতা কুড়িয়ে আমরা গেঁথেছিলাম ক্ষণ,
নিমগ্ন জলের বানানে ।
বুঝি আজ সেই নিমগ্ন জলের দিন !
তুমুল তুলপাড়ে নিরব আমায়,
ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তোমার নিমগ্নতায়।
জলরেখা, এত যে ঝড়-জল-তোলপাড়-ভেসে যাওয়া তবু কেনো এত নিঃস্ব নিঃশব্দ দিন ?
কোথা হতে এমন নিঃস্বতা নেমে এলো এই ঘোর জনকোলাহলে ? জলরেখা, তোমাকে ভাবলেই কেনো বিরানজুড়ে নেমে আসে বন?
কাঁধ ছেয়ে যায় ঘনো নিরবতায়?
সুনসান ছায়ার গভীরে কেনো দেবে যায় ভাদ্রের ভরা রোদ?
কেনো পায়ের কাছে মহাশিলার মতো স্থবির পড়ে থাকে সময় ?
মনে হয় ভেঙেচুরে দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত গর্জন সবে ক্লান্ত শ্রান্ত ভগ্ন পড়ে আছে বোল্ডুজার মহা নৈঃশব্দের জঠরে ?
জলরেখা, তুমি কি জানো উত্তরের ঢলে নেমে আসা পলিতে আমি বুনে দিয়েছি তোমার নামগাছ? আমার বালি-চিকচিক চোখের জলে এখন কেবলই তোমার নামগাছ, জলরেখা, জলরেখা, জলরেখা কেবলই জলরেখা গাছ। বর্ষার অধিক নিবিড় তোমার চোখ,
বৃষ্টির অধিক ঝুম ছুঁয়ে গেয়ে যাও নির্জন মাঠ!
জলরেখা তুমি কি কেবলই এক নির্জনমগ্ন পাট