বিশ্বসাহিত্যে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের যে অবদান, তা সেভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। ‘খোয়াবনামা’, ‘চিলেকোঠার সেপাই’–এর মতো অনবদ্য সৃষ্টি নিয়ে চলচ্চিত্রের মতো শিল্পকর্ম তৈরির মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টিশীল সাহিত্যকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।
কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ৭৯তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা উঠে আসে অতিথিদের আলোচনায়। কালজয়ী এ কথাসাহিত্যিক যে শহরে চিরঘুমে রয়েছেন, সেই বগুড়ার একটি হোটেলের কনফারেন্স হলে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২২) সন্ধ্যায় এ আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন নজরুল পরিষদ বগুড়ার সভাপতি মন্তেজার রহমান।মুখ্য আলোচক ছিলেন কবি ও লেখক গোলাম মোস্তফা।
আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘করতোয়ার মহাত্মা’ হওয়ার কথা ছিল। করতোয়াপারের মানুষের জীবনসংগ্রাম, তাদের ইতিহাস, লড়াই উঠে এসেছে তাঁর লেখনীতে। তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন কৈবর্ত বিদ্রোহ নিয়ে প্রচলিত মিথগুলো থেকে তাঁর উপন্যাসের উপাদান নিংড়ে বের করবেন।তাঁর উপন্যাসের চরিত্রগুলো ঘুরে বেড়াবে বরেন্দ্র এলাকার ইতিহাসের অলিতে–গলিতে। মুক্তিযুদ্ধের কাঠামোর মধ্যে তিনি বুনে দিতে চেয়েছিলেন এ দেশের ভূমিপুত্রদের আরেকটি বিদ্রোহের কাহিনি। কৈবর্ত বিদ্রোহের পটভূমিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধকে উপস্থাপন করতে চেয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের সাহিত্য ও কর্ম নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ কবি ও লেখক মাসুদুল হক, রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক কবি কামরুল হাসান, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফ কলেজের অধ্যাপক আকমল হোসেন, কবি তুষার গাইন, বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক হাসান, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস পরিষদের বগুড়া জেলা কমিটির সদস্যসচিব ড্যারিন পারভেজ প্রমুখ।
এদিকে, বগুড়া লেখক চক্র আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের জন্মদিন উপলক্ষে শহরের সাতমাথায় আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।এতে সভাপতিত্ব করেন কবি ইসলাম রফিক।ছড়াকার রকিবুল হক খান, লেখক চক্রের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমির খসরু প্রমুখ বক্তব্য দেন।