নদী বিষয়ক কবিতা ॥ আবু আফজাল সালেহ


সাঙ্গু নদী। ছবি: ইন্টারনেট

নদীর আক্রোশ
আমার প্রার্থনা পরিত্রাণের সঙ্গে আবিষ্ট,
তীরে এবং রাতে দ্বিতীয় ঝড়ের পরে
আমরা হলুদ আবহাওয়ার মধ্যে-
আমাদের ভাবার দরকার
অন্যের চিন্তা মাথায় রেখে।

বাঁচার জন্য জলের উপর জাল ফেলে
আমরা জীবিকা করি পুষ্টি নিই,
কিন্তু নদীর রাগ আমাদের ওপর
শুধু এ কারণের জন্য নয়
আমরা অবিবেচক
আমরা অকৃতজ্ঞ, কৃতঘ্নও।
আমরা একে অপরের কিছুই জানি না।

কীর্তনখোলা নদীর তীরের রমণী
কীর্তনখোলা নদীর ধারে বসে ছিলেন এক রমণী
মুক্ত মনে, নদীর জলে পা দিচ্ছেন মাঝে মধ্যে
পায়ের আঙুল পরমানন্দে শুকিয়েও যাচ্ছে।

সূর্যের নরম আলোয় স্রোত মিশে যাচ্ছে
তার সৌন্দর্য গলে পড়ছে প্রতিচ্ছায়া হয়ে
তার নিঃশ্বাস লুট হচ্ছে ঘোলা স্রোতে
দুস্প্রাপ্য কিছু পাথরের সঙ্গে স্রোতের
স্রোতের সঙ্গে রমণীর আঁকা ছবি।

সৌন্দর্যের মরীচিকায়
ডাকাতকে কিছুই বলতে পারিনি।

থানচির সাঙ্গু-তীরে
সূর্য জ্বলছে
সাঙ্গুর ঘোলা উল্লাস।

এক স্বপ্ন পুরুষ
স্ত্রীর গরম নিঃস্বাসের ধোঁয়ায় গলছে
তার ভাঙা-খোলা চুল
গোপন হাসি
বাতাসের মাধ্যমে দুষ্টুমি,
নীলকান্তমণি চোখ বড় বড় হয়ে ওঠে।

দুধারে সবুজ সিঁড়ি
বর্ষার ঘোলাস্রোত
পর্যটকদের উল্লাস, পাহাড়িদের যাতায়াত।
রোমাঞ্চের ঘ্রাণে বন্দি মন।

পড়ুন: গড়াই নদী ॥ রকিবুল হাসান