প্রিয় শুভ্র ॥ হোসনে আরা জেমী


অলঙ্করণ: ইশরাত কবিতা

কেমন আছ ? কেমন করে তুমি আজ শ্রাবণের মেঘের উড়াউড়ি দেখছো। এই শ্রাবণের কাঁশবনের চাঁদের আলোর খেলা দেখে কাটালে ? কতটা প্রেমে সেই সময় কাটানো যায় তা আমি বুঝতে পারি।

জানো তো সেইদিনের ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে বিকেল বেলাটার কথা খুব মনে পড়ছে।কেমন ছিলো সেদিন। সবকিছুই আগের মতোই আছে কেবল আমি হারিয়ে যাচ্ছি অতল অন্ধকারে একা একা৷ আমার নির্ভরতার জায়গাগুলো হারিয়ে যাচ্ছে।ভেবেছিলাম আমার একটা জায়গা আছে নির্ভরতার, আজ চারদিকে তাকিয়ে দেখি, সেও কিভাবে যেন আমার হাত থেকে বেড়িয়ে গেছে দূরে…।

আমাদের ছায়াময়, মায়াময় জীবন থেকে সুখগুলো একটু একটু দূরে চলে যাচ্ছে। তারপরও অনেক অপেক্ষা আর কিছু অব্যক্ত আশা নিয়ে বসে থাকি।যদি ফিরে আসে, সেই আগের মতো কি হবে সবকিছু?

আচ্ছা তোমার যখন হঠাৎ করে আমার কথা মনে হয়, কী ভাবো তুমি? তোমাকে আমার মনে পড়লেই, আমি তোমাকে লিখতে বসে যাই।অথবা ঝরনা জলে নাইতে চলে যাই, আর চোখ বন্ধ করে তোমায় ভাবি।

আমার জমে থাকা সব অভিমান ঝর্না জলে ধুয়ে শীতল হতে থাকে আর কতকথা ভাবতে থাকি। তোমায় আঁকি জলের রঙ তুলিতে।ভালোবাসি এই কথাটা আমি সহজ করেই বলি, আগেও বলতাম। একদিন আমাকে যদি অন্য কোন আমিতে পাও, তবে কী করবে? তোমাকে লেখা এই যে অব্যক্ত কথারা যদি কোনদিন তোমার দুয়ারে এসে দাঁড়ায়, চিনতে পারবে তো ? আমি হারিয়ে গেছি সেই কবে; কতদিন, কতরাত অন্ধকার একটা ঘরে আমার নির্বাসিত দিন শীতল স্তব্ধ চারিদিকে।তবুও একটা অবশিষ্ট মন তোমার আলাপে, প্রলাপে অনন্তকাল ধরে ভেবে যাচ্ছে।

আমার মনে হয় কী জানো একদম যেমন করে বলতে চাই তেমন করে বলা হয় না কিছু; কোথায় যেন একটা দ্বিধা রয়েই যায়৷

রাতের নিরবতায় শিউলি, কামিনীকাঞ্চন ফুলেরা যেমন ঝরতে থকে আর সুবাস বিলোয়।দেখবে একদিন আমিও এভাবে ঝরতে থাকবো। সেই সময় হয়ত তুমিও থাকবে জেগে নীরবে।

আজ এইটুকুতেই থাকি।আবার কোনও দিন লিখবো না হয়।ভালো থেকো ভালোবাসায়
তোমার নীল।