চোখের সমীকরণে চন্দ্রখচিত রাত-জোছনার ক্রীতদাস ও অন্যান্য


মাসুদ মুস্তাফিজের কবিতা
চোখের সমীকরণে চন্দ্রখচিত রাত-জোছনার ক্রীতদাস ও অন্যান্য

গল্পটুকু রেখে
কিছু উড়নচন্ডিময়ী জোছনার বেলেপাথর শুকায়ে গেছে শেলপাথরে দূর অভিসন্ধিতে
আসল্যে রোদগুলো অনন্যতন্তর ফাঁদে কেঁদে মরছে তুর পাহাড়ে সমুদ্ররূপচরে রুপসত্যে
আমারি আবর্তে আমিই সেটে গ্যাছি আঁধিমাখা চোখে

২. আগুনের অমিতর্বীয
চক্ষে আগুন লাগে-বক্ষে নদীর ঢেউ, চিন্তা কল্পনায়িত সংগত নয়-নয় অসত্য
এই তো সুন্দর নয়ের ভেতর ছয়-অনেক বাঁক-প্রতারক অমাবস্যার জাল তবুও তাহারা দোহে মিলে হেরপর অভ্যস্ত স্বপন কেটে বিবাহিত মেঘ হাসে খরতাপে উর্বরজলে

৩. অনির্মাণ দহন
চর ভেসে নদী যায়-নদী ভাসন্ত হলো বারবার
মোহনা অনেক বুকের ভেতর বিরহতরঙ্গ প্রবাহ নয়, আছে তার রূপবাঁধানো কুল
হয়তো রুপগত স্রোত সুখি নদীপান স্বদূরে এই তো নর-শরীরের মৌলিক বসবাস

৪. চাঁদের জলসত্র
ছায়া কেটে ঘোলাটে হয় দুপুর কুমারিতে নূপুর
ছায়ার ঘামে থেমে যাচ্ছি নেমে যাচ্ছি মধুপুর
চন্দ্রালোকিত রাত আমি তার ক্রীতদাস-
স্বামীত্ব নেই নদীবিবাহের সমুদ্র সন্তানের পেশীময় র্দীঘমনের

৫. প্রাণ
এ রকম কয়েকটি বিকেল মিশে নিশ্চিত ধূলিচরদূর লাজুকসমুদ্দুর
এতো নদী এতো নদী আছে শতাব্দী শমিতকুল-নানান মাছকন্যার যৌনতা
আনন্দের জলধারা উল্লসিত কাঞ্চন বিশ্বজলাশয় ধূলোধারা প্রাণ

পাখিপুর-সর্বকালের বৃক্ষদিন

আবালেক কিছু অনায়ত্ব দেবদারু গাছের ছায়ায় জোছনা বিলোচ্ছে
ইস্কুলগামী বালকেরা কাগজ কলম ছুঁড়ে মারছে আদিম আকাশে
ধর্মান্তরিত হতে হতে ঘাসফড়িং
আর অচীনবৃক্ষরা বহুকাল মাটিকে আলিঙ্গন করে যাচ্ছে
অহিংসার শর্ত ভেঙে মাতৃতত্ত্বের কারক অথবা ভূগোল নিয়ে

আজকাল শরীরে ভুল ধরে-
আত্মপ্রকৃতির সূত্রমূত্র তরল ভেদে ফিডিয়াস!ফিডিয়াস!
সর্বকালের রাজ্রপ্রাসাদ থেকে
পাখিজীবীদের কাছে ছলনা শিখছি
শিখছি কৌশল এবং অন্ধপাখির মুখরিত সুর-গান

ব্যক্তিগত
চাঁদসূর্যের গ্রহণকালে পৃথিবীর ছায়া কারুজ হয় পাহাড় বেড়াতে
নদী-সমুদ্র-বনবৃক্ষ তখন মানব মানব জোয়ার ভাটায়
আকাশমাটির শরীরে আয়ুর আবেগ বিশ্বাসের জন্ম তুলে রাখে
জল-তুলোর মেঘ ওড়ে সর্ম্পকের ঋতুর সাইকেলে-

ও গো সন্দেহের দেহ-তোমার আশ্রমে আমরা সুখের মলাট খুলে
আজানার মিথ্যেগুলো সত্যের স্নানে ভরিয়ে তুলবো

তুমি শুধু সূর্যরক্ত মেখে চাঁদের কাছে যেও আর অদৃশ্যের জলধিস্মৃতির
নামে মুক্তবিভায় আনন্দের প্রজাপতি ধ্যানে নতুন অধ্যায়সমান পাহাড়
ব্যক্তিগত পরিসর মেপে নিও কান্নাজলের শব্দসবজি

অন্তর তৃষ্ণার অগ্নিসুচি
চাঁদের সমুদ্রপর মাটির শরীর থেকে অগ্নিধুলো ওড়ে
নগ্নগাছের তলায় অন্ধতৃষ্ণায় জল সরোবর সর্বনাশের ব্যঞ্জনা-
ঘুঘু ডাকা কাল, আহা!
দুলদুল বনে কে হাঁটিয়া যায় চোরাকাটা দিন রেখে
কে পড়িল হায় গজমতির হার! অম্বলসুখে-
জন্মশাসন কাহার বিঁধিল পায়! হায়-
বাতাস্য মাতা খলসেকুন্ডুর মেঘ দেখিল তাহার রবও হাসিল
কেন দিল অন্ধকারের শিকল পায়ে বিমাতা আমার

জেগে বুঝি-
কাছে আমার ঊষা নাই-দিশা নাই
কেন জনে বাঁজিল মনপ্রাণ সাঁই নই

গোলাপের অহর্নিশ মেঘসাধনা
ঘুমভাঙা টুকরো মাড়িভাতের মেঘ
দাঁতে নখ কাটি-নখে সাতনলি সূতো কাটি
বিপুল নিরাপত্তাহীনতায় বড় হয় মনের প্রজাপতি

জিহ্বায় নগ্নতার স্বাদ নিই-গ্রাম্য কিশোরীর অন্তর্বাসের
জলপাই নরোম শরম আন্তরিকতায়
বুনোফুলের মুদ্রায় খুলে দেবে মন দিবদঙে মুখ রেখে থোন

ফিরে দেখি-
মাথানিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে কাঁটাহীন রাসায়নিক গোলাপ!