রাত্তিরের পদাবলী
মেয়েটিরও ইচ্ছে হতো খুব
কোনো এক বিষণ্ন বিকেলে ডিঙিয়ে যাবে কারও মনের চৌকাঠ
উঁকি দিয়ে দেখবে কারও হৎপিণ্ডের গোপন ঘুলঘুলি
কতটুকু আলো তাতে জমে তার নামে
কত রঙে ফুল ফোটে তার মুখ ভেবে
ইচ্ছে হতো মনের চৌহদ্দিজুড়ে পাহারা বসায়
শক্তহাতে রুখে দেয় যেকোনো অনারাধ্য অনুপ্রবেশ
অতঃপর
মেয়েটি চোখ রেখেছিল সেই মনের জানালায়
দেখেছিল
ভেতরে জমাট বরফে চিকচিকে একফালি রোদ পড়েছে ঠিকই
কার্ণিশে তবু বাসা বেঁধেছে হিসেবের মাকড়সা
মেয়েটি ফিরেছিল বিষণ্ন বিকেল হাতে একা
সন্ধ্যার বুকে মাথা রেখে বিকেলও ফিরে গেছিল শেষে
শুধু বিষণ্নতাটুকু ছিল নিখাদ প্রেমে
তাতে ডুবে মেয়েটি দেখেছিল
রাত্রিও অন্ধ তার প্রেমে
কী প্রগাঢ় অন্ধকার সে বিছিয়ে রেখেছে
গভীর মমতায়…