বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।এখন তিনি কেবল নির্দিষ্ট কোনো দলের নয়।বরং দলমত নির্বিশেষে বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের অবিসংবাদিত নেতা।
তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে সুচিহ্নিত হয়েছে।কেউ তাঁর দলের সমর্থন নাও করতে পারি।কিন্তু ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করতে পারি না।অন্তত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারবো না।স্বাধীনতার স্থপতি হিসেবে দেশে-বিদেশে বঙ্গবন্ধু আজ সমানভাবে সমাদৃত।১৯৭১ সালে তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।আমরা ইতোমধ্যে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি।
‘বঙ্গবন্ধু : অন্তরঙ্গ পাঠ’-এই গ্রন্থটি বঙ্গবন্ধুর প্রতি আমার হার্দিক নিবেদন।মূলত ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সংগ্রামমুখর জীবন আমাকে তুমুলভাবে আন্দোলিত করে।আমি তাঁর কর্মপ্রবাহ ও জীবনদর্শনকে অধ্যয়ন করার চেষ্টা করেছি।বিশেষ কোনো পরিকল্পনা মাথায় রেখে এই গ্রন্থ প্রণীত হয়নি।বরং তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে লেখা ব্যক্তিগত গদ্য ও কবিতা এখানে গ্রন্থিত হয়েছে।দেশ, মাটি ও মানুষের প্রতি তাঁর যে নিবিড় ভালোবাসা, এটা সত্যিই তুলনারহিত।
বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনে ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন।অর্থাৎ ৫৫ বছরের জীবনে প্রায় ১৪ বছর কারাগারে বন্দি ছিলেন।বারবার তাঁকে গ্রেফতার করা হলেও তিনি আপস করেননি। বাঙালির ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত বিরল।হাজার বছরের এই শ্রেষ্ঠ বাঙালির কাছে আমরা ঋণী।
তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।বইটি প্রকাশের ভার গ্রহণ করে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন বৈভব প্রকাশনীর কর্ণধার কবি পাপিয়া জেরীন।তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ।সবার মঙ্গল হোক।
বঙ্গবন্ধু : অন্তরঙ্গ পাঠ (প্রবন্ধগ্রন্থ)
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
প্রকাশক: বৈভব
বইমেলা: ২০২৩