নদী নিয়ে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে শিল্পকর্ম প্রদর্শনী


 ছবি: আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ

আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হয়েছে জুয়েল এ রবের কিউরেশনে ‘‌রিভার ডেল্টা’ শীর্ষক নদীবিষয়ক গবেষণাভিত্তিক শিল্পকলা প্রদর্শনীর।

রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এজাজের উপস্থিতিতে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন হয়েছে ৬ ডিসেম্বর।বাংলাদেশের নদ-নদীর ওপর পাঁচ বছর মেয়াদের চলমান একটি গবেষণার প্রথম পর্বের অংশ হিসেবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

গবেষণাভিত্তিক এ প্রজেক্টের প্রথম পর্বের প্রদর্শনীতে ছয়জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন।তারা হলেন-অপু রাজবংশী, মহসিন কবির, শিমুল দত্ত, নাজমুন নাহার কেয়া, প্রমথেশ দাস পুলক ও মোহাম্মদ হাসানুর রহমান।

এ নিয়ে আয়োজকরা জানান, এ প্রদর্শনীর উদ্দেশ্য নদী নিয়ে সমাজের সর্বস্তরে সচেতনতা, গঠনমূলক আলোচনা, নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ববোধ তৈরিতে সহায়তা করা।পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে এখনই সবাইকে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।

শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে অভ্যন্তরীণ কিংবা আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে ধারণা দেওয়া যায়।এছাড়া দেশের ভেতরের নানা জটিলতা, নদী দখল, নদীর পরিবেশ রক্ষা, জল জীবন ও প্রাণীর বৈচিত্র্য রক্ষা, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে প্রস্তুত করা যায় সহজেই।তাই সচেতনতা জরুরি।

প্রদর্শনীর বিষয়ের গুরুত্ব বোঝাতে আয়োজকরা বলেন, ‌‘‌বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ বিধায় আমাদের খাদ্যশৃঙ্খল থেকে বাণিজ্য, যোগাযোগ, জীবন-জীবিকার বেশির ভাগ অংশ নদীকেন্দ্রিক।দেশের অনেক সম্প্রদায় নদীর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।জেলে, বেদে, ধোপা, নুনচাষি, মাঝি, চিংড়ি চাষীদের মতো অনেক সম্প্রদায়ের মানুষের জীবনের ভাঙা-গড়ার গল্প জড়িত এ বাংলার নদ-নদীর জোয়ার আর ভাটায়।’

প্রথম পর্বে বিষয়বস্তু হিসেবে নদীর নাব্যতা, নগরায়ন ও ইন্ডাস্ট্রিয়ালাইজেশনের প্রস্তাব, মুক্তিযুদ্ধ ও নদী, নদীর ওপর নির্ভরশীল জীবনের পট পরিবর্তন, পানি ও মৎস্য সম্পদের ভবিষ্যৎ, আন্তর্দেশীয় নদীর ভৌগলিক রাজনীতি এবং এর ফলে সৃষ্ট সংকটসহ নানা বিষয় প্রাধান্য পেয়েছে।ড্রইং, ফটোগ্রাফিক ইমপ্রেশন, ইনস্টলেশন আর্ট, কাইনেটিক স্কাল্পচার, সফট স্কাল্পচার, দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক ভাস্কর্য, সায়ানোটাইপ আর্কাইভাল প্রিন্টসহ মাল্টি ডিসিপ্লিনারি মাধ্যমে শিল্পকর্মগুলো প্রদর্শিত হচ্ছে এ প্রদর্শনীতে।

সবার জন্য উন্মুক্ত প্রদর্শনীটি চলবে ১৩ জানুয়ারি ২০২৩ পর্যন্ত। সোমবার থেকে শনিবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত প্রদর্শনীটি উপভোগ করা যাবে।সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে রোববার।