১৮৮৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর পেরিয়ে গেছে ১৩৫ বছর। দীর্ঘ এ যাত্রায় পাঠক পেয়েছে বিজ্ঞান ও প্রকৃতি নিয়ে নান্দনিক প্রবন্ধ, নিবন্ধ আর চমৎকার সব ছবি।কিন্তু এবার এগিয়ে যাওয়ার পথে বড় বাধা এলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ম্যাগাজিনে।নিজস্ব সব লেখককে ছাঁটাই করে দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
হুমকির মুখে থাকা প্রাণীদের নিয়ে কত শত নিবন্ধ প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।এবার নিজেরাও সেই হুমকিতে থাকা প্রাণীদের মতো বিলীনের পথে।
২০১৫ সালে মালিকানা বদলের পর মোট চারবার কর্মী ছাঁটাই করেছে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক।গত ৯ মাসে দুইবার।শেষ ধাপে বুধবার (২৮ জুন ২০২৩) বাকি থাকা ১৯ জন লেখক ছাঁটাই হয়েছেন।ওয়াল্ট ডিজনির এ প্রতিষ্ঠানটি গত এপ্রিলেই কর্মীদের এ ব্যাপারে জানিয়েছিল।
শুধু লেখক ছাঁটাই নয়, আরও কয়েকটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ম্যাগাজিনের ছোট অডিও বিভাগও বন্ধ থাকবে।দারুণ সব ছবি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যে চুক্তি করা হয়েছিল, সব চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছে তারা।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের পাঠকেরা এখন থেকে একটা জিনিস খুব মিস করবেন।উজ্জ্বল হলদে রঙের বর্ডারযুক্ত প্রিন্ট ফরম্যাটের ম্যাগাজিন আর প্রকাশ করা হবে না।আগামী বছর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
ম্যাগাজিনটির নিজস্ব লেখকেরা কর্মী ছাঁটাইয়ের তথ্য প্রথম মঙ্গলবার (২৭ জুন ২০২৩) টুইটারে প্রকাশ করেন।ম্যাগাজিনটির সাবেক বিজ্ঞান লেখক মিকাইল গ্রেশকো টুইটে লেখেন, ‘আজই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে আমার শেষ দিন।’
ক্রেইগ ওয়েলচ টুইটারে লেখেন, ‘আমার হাতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের নতুন কপি এসেছে, এতে আমার ১৬তম লেখাটি আছে এবং জ্যেষ্ঠ লেখক হিসেবে এটিই আমার শেষ (লেখা)। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক তাদের নিজস্ব লেখক সবাইকে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছে।’
সাবেক লেখক নিনা স্ট্রচলিক টুইট করে বলেছেন, ‘ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের সঙ্গে পথচলাটা দারুণ ছিল।অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, আমি এবং আমার সহকর্মীরাই এর শেষ লেখক হওয়ার ভাগ্য পেয়েছি।’
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট, সিএনএন