অনুষ্ঠিত হলো ‘একুশ শতকের সাহিত্য’ নিয়ে শিল্প-সাহিত্যের বৈঠক। এটি আয়োজন করে বাংলা ভাষা-সাহিত্যভিত্তিক সংগঠন বাংলায়ন সভা।
গত শুক্রবার (২১ জুলাই ২০২৩) ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা সেমিনার কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।একুশ শতকের কবিতা, প্রবন্ধ এবং কথাসাহিত্য নিয়ে আলোচনায় অংশ নেন কবি ও প্রাবন্ধিক ড. মাসুদুজ্জামান ও কবি সৈকত হাবিব। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলায়ন সভার মুখপাত্র ফয়সাল আহমেদ।সঞ্চালনা করেন কবি সৌম্য সালেক।
আলোচনায় ড. মাসুদুজ্জামান বলেন, বিশ শতকের সবচেয়ে বড় অর্জন প্রযুক্তির বিকাশ।আজকে পত্রিকায় এসেছে কৃ্ত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংবাদ পাঠিকা অপরাজিতা চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে সংবাদ পাঠ করেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশেও ঢুকে গেছে এটা তার প্রমাণ।এরপরে দেখা যাবে, আর কাউকে নিউজরুমে সংবাদপাঠ করতে হবে না।কিন্তু অপরাজিতাকে দেখে মনে হলো আবেগহীন, অভিব্যক্তিহীন। আমরা দেখলাম, হিউম্যান এবং নন হিউম্যান প্রযুক্তির মধ্যে কত ফারাক?
তিনি বিশ শতক থেকে শুরু করে একুশ শতকের প্রথম দুই দশকের কবিতার বৈশিষ্ট্য আলোচনা করেন।বৈশ্বিক রাজনীতির প্রভাবে তৃতীয় বিশ্বের ভাষা ও সাহিত্যের সংকট সমাধানে তরুণদের দায়িত্বের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
সৈকত হাবিব সাম্প্রতিক বাংলা সাহিত্য নিয়ে কথা বলেছেন।তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রচুর মিডিয়া।সেখানে সাহিত্যের আলোচনা কম পাবেন।সপ্তাহে সাহিত্যপাতা বের হয়।কিন্তু সেখানে সাহিত্যের থেকে বেশি থাকে বন্ধুত্বের সম্পর্ক এবং ক্ষমতা।পড়ার মতো লেখা, চিন্তা করার মতো লেখা, স্পার্ক করার মতো লেখা আছে কী?
তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৃষ্ট সাহিত্যকে গার্বেজ বলেছেন। কোনো ধরনের সম্পাদনা ছাড়া মন যা চাইছে তাই প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষ উগরে দিচ্ছে।এগুলো আর যা-ই হোক সাহিত্য বলতে তিনি নারাজ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শামস সাঈদ, গাজী মনছুর আজিজ, জব্বার আল নাঈম, সাইফ বরকতুল্লাহ, জোবায়ের মিলন, খালেদ চৌধুরী, সাম্মী ইসলাম নীলা, খালেদ রাহী, চামেলী বসু, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।