কোনো এক নভেম্বরে শর্বরী সুন্দরে ॥ শাহ মতিন টিপু


ছবি: লেখক

কোনো এক নভেম্বরে শর্বরী সুন্দরে
তুমি এসেছিলে, অনেক আনন্দে
দু’চোখি মন আমার ভিজেছিলো
বৃষ্টিতে হঠাৎ-
অনেক বসন্ত মেঘ নেচে উঠেছিলো
দখিনা হাওয়ায়,
পুষ্পে পুষ্পে ভরে উঠেছিলো
শূন্য খা খা ভিতর বাগান-
গেয়েছিলো গান প্রিয় হরবোলা।

মনের আকাশ আমার মুখর হয়েছিলো
হাজারো পাখির মধু কলতানে-
হয়তোবা সে কথা লেখা হবে
কোনো খানে কোনো গানে, অন্য পুরাণে।
ভেতরে আমার কতো হাহাকার
কত যাতনা কষ্টভূষণ হলো নিরাকার,
নিরাকে সে গাথা হয়তো আমার
হৃদয়ের অতলে জীবন হয়ে নাড়া দিয়ে
যাবে বারবার।

তুমি এসেছিলে বলে যে পুরাণে সখা
হয়ে গেছি লীন
হয়তো আমি সে দ্যোতনায়
দোল খাবো আর আজীবন সুখ কুড়াবো।
মেঘ ছুঁয়ে থাকা মোহন বিলে
মনকাড়া রঙিন শাপলা মিছিলে
হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসাবো তরী
পরশে-আবেশে রাঙাবো বিভাবরী-
অহোরাত্র এ দ্যুলোক-ভূলোকে ছড়িয়ে যাবো
সে মধু রেশ-ভাসবো সে অনুরণনে।
এইতো জীবন শিকা-
নয় মরিচিকা এ প্রিয় অনামিকা
যত্ন করে মনমাচায় এ তুলে রাখলুম-
এ আমার একান্ত আরশ, অনুভব, প্রিয় স্বপ্নঘুম।