ভারতের সিউড়ি, বোলপুরের চেয়ে রামপুরহাটে হওয়া বইমেলায় বিক্রি কম হতে পারে।এই আশঙ্কায় বইমেলায় স্টল বুক করেও ৯টি প্রকাশনা সংস্থা আসেনি।বই বিক্রি কেমন হয় তা নিয়ে চিন্তা ছিল বইমেলা কমিটিরও। শেষ পর্যন্ত ৭ দিনের বইমেলায় দেখা গেল ৮০ লাখ টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে।বই বিক্রি বৃদ্ধিতে খুশি বইমেলায় আসা বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থাও।তবে মেলা নিয়ে আরও বেশি প্রচার হলে বই বিক্রি আরও বাড়ত বলে একাধিক প্রকাশনা সংস্থা জানিয়েছে।
এবারের ৪২তম বীরভূম জেলা বইমেলা ৪ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারি (২০২৪) ভারতের রামপুরহাট হাইস্কুল মাঠে শুরু হয়। মেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তথা বীরভূম জেলা গ্রন্থাগার কৃত্তক সমিতির সদস্য সুদীপ মণ্ডল বলেন, ৬১টি স্টলের বিভিন্ন প্রকাশনা সংস্থা থেকে নানা গ্রন্থাগার, স্কুল, কলেজ এবং বই কিনেছেন।
বইমেলা কমিটি জানায়, গতবার সিউড়িতে জেলা বইমেলায় ১ কোটি টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছিল। সিউড়ির থেকে কম হলেও রামপুরহাটে অন্য বছরের তুলনায় বেশি বিক্রি হয়েছে।শেষ পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী ৮৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকার বেশি বই বিক্রি হয়েছে।রামপুরহাটে বইমেলায় বই বিক্রির হার অনুযায়ী বইমেলা কমিটির প্রত্যাশা ছিল ৭০ থেকে ৭৫ লাখ টাকার বই বিক্রি হবে।প্রত্যাশার থেকে বেশি বিক্রি হয়েছে বলে দাবি মেলা কমিটির।
জেলা গ্রন্থাগার বিভাগের কর্মকর্তা সুদীপ্ত বিশ্বাস বলেন, ‘রামপুরহাটে বই বিক্রি বৃদ্ধি পেয়েছে এটা ভালো। নতুন প্রজন্মের পাঠকরাও বইমেলায় ভিড় করেছেন।এটাও ভালো দিক।
রামপুরহাটে বই বিক্রিতে খুশি বেশ কিছু প্রকাশনী সংস্থাও। ওই সমস্ত প্রকাশনী সংস্থার কর্মচারীরা জানান, রামপুরহাটে এর আগে বইমেলায় বই বিক্রির পরিমাণ কম ছিল।তাই প্রকাশক সংস্থার একাংশের মধ্যে বিক্রি কেমন হবে তা নিয়ে চিন্তা ছিল।তবে গ্রামাঞ্চলে বইমেলা নিয়ে প্রচার কম বলেও অভিযোগও করেছেন প্রকাশকদের অনেকেই।
সূত্র: আনন্দবাজার
