সমপরিমাণ যা কিছু
ইয়া বড় শহরে নিত্যদিন
এক গবেষক হয়ে নামি দামি রাস্তা দিয়ে চলে যাই
কথার কানাকড়ি নিয়ে বসে
আছে যে প্রেমিকা তার কাছে,
দুটো মিষ্টি কথা, তিনটে স্পষ্ট কথা, কথার ধারাবাহিকতা,
যে সংসার টেকেনি, যে বাচ্চা নষ্ট করতে বাধ্য করেছে শশুর বাড়ির লোক, প্রতিনিয়ত যে অপদস্থ হবার দীর্ঘজীবন সেসব অর্জন নিয়ে আমরা চিড়িয়াখানা নামক বাড়িতে ঢুকে যাই, চুলে চূড়া করে আমার প্রেমিকা জর্জেট শাড়িতে আকষণহীন মৃত্যু-সংবাদের মতো এক কাপ চা নিয়ে আসে, দুপুরে বৈচিত্র্যহীন মুসুরির ডাল আর এক থালা ভাত পর্যন্ত আমাদের অভিমান, তার পর আবার আমরা রুটিনবাঁধা নারী-পুরুষ, তার চোখে ঘুম …
আমি ছিলাম চল্লিশ নম্বর পৃষ্ঠায়।
কার্তিকের স্বপ্ন
এই নতুন কুয়াশাকালে কথা কিছু অসম্পূর্ণ থাকে,
পাকা ধানের গন্ধে লেগে থাকে শালিকের
কিচিরমিচির ডাক, জলঢেঁকিতে শিশিরকণা,
রাস্তা ঘেঁষে খেজুর গাছ দাঁড়িয়ে আছে
বিবর্ণতায়,পগাড়ে ভাসছে হাঁসের দল,
বুকে খুব তাড়াতাড়ি শূন্যস্থান পূরণ হচ্ছে,
কার্তিকের অজস্র সব স্বপ্ন উড়ে গেলে
শীতকাল নাজাতপ্রাপ্ত হয় ।
ক্লেদবাহী এই নদী
বসতবাড়িটার জানালায় যে তরুণী
ম্লান চোখে ধূসর আকাশ দেখে
তার অধিকারের জন্য আমি জয়ভেরী বাজাই,
তার অকাল বৈধব্য আমি মদগর্ব দিয়ে
রাঙিয়ে দেব,
তার মকরন্দ রজস্রাব ঠোঁটে নিয়ে আমি
জীবন মজলিসে ঘাঘরী বাজাই,
রাধাপদ্ম তুলে রেখেছিলাম তারই জন্য
শুকিয়ে গেছে,
এখন শুকিয়ে গেছে।
অবলম্বন
মুখ গলে যাচ্ছে, পানি দিচ্ছি, বেসিন দিয়ে আমার
চামড়া বেয়ে যাচ্ছে নল থেকে নহরে,
রুহু একা হয়ে যায় যখন ক্রমাগত ক্ষরণ হয়
রূপের।
লক্ষাধিক ইট আমার পাশে বাড়ি বানায়, থাকতে এসেছে তারা এই এলাকায়, আমার জীবনকাল কাটাবে চুপচাপ।তারা পাপ-পূণ্য করবে না, সৃষ্টিকর্তা মানবে না,
ব্রহ্ম জ্ঞান, শুচি-অশুচি মানবে না, তবু থাকবে আমার থেকে কিছু বছর বেশি আমার ঘর থেকে একটু দূরে।