বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান বাঙালি কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক এবং দার্শনিক কাজী নজরুল ইসলাম বাঙালি মানসে চিরঞ্জীব। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সমসাময়িক এই কবি শুধু মননশীল সাহিত্য নিয়েই কাজ করেননি, তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অন্যতম প্রধান শত্রু, একজন স্বনামধন্য বিপ্লবী বীর। মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য বাংলার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত পর্যন্ত বিদ্রোহের আগুন ছড়িয়েছেন। তাঁর জ্বালাময়ী, তীর্যকভাষাদীপ্ত কবিতার দ্বারা শুধু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরই নন, বাংলা সাহিত্যের এমন কোনো কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, সাংবাদিক, সম্পাদক নেই যিনি উদীপ্ত হননি। শুধু সাহিত্য জগতের বাঙালিরাই নন, বিপ্লবী বীর, স্বদেশি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত তরুণ প্রজন্মের প্রায় সবাই আলোড়িত এবং উৎসাহিত হয়েছেন। এরকম অকুতোভয়, সাহসী, বিপ্লবী কবি বাংলা প্রদেশসহ ভারতীয় সাহিত্যই শুধু নয়, বিশ্বসাহিত্যেও বিরল বললে কি অতিরিক্ত বলা হবে?
কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস এবং সঙ্গীতে শুধু যে স্বাদেশিকতা ও জাগরণের মহিমা বর্ণিত হয়েছে তা নয়, বিশ্বজননীতা, মানবতা, মনুষ্যত্ব এবং অসাম্প্রদায়িক ভ্রাতৃবোধ স্বমহিমায় মহিমান্বিত। তাঁর লেখনীর মাধ্যমে সর্বজনীন মানবিক আবেদন অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, তাঁর জীবন, রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনা এবং সাহিত্যসাধনা নিয়ে যতখানি বাংলা ভাষায় গবেষণা হয়েছে তার একভাগও হয়নি বিদেশি ভাষায়। তথাপি বিশ্বে ছড়িয়ে দেবার জন্য কতিপয় বাঙালি গবেষক ইংরেজি ভাষায় তাঁদের গবেষণা বা আলোচনা লিপিবব্ধ করেছেন।
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এশিয়ার অন্যতম প্রধান দেশ জাপানে একাধিক প্রভাবশালী বাঙালি বিপ্লবী এসেছিলেন, কেউ কেউ আবার রাজনৈতিক আশ্রয়ও গ্রহণ করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে মহাবিপ্লবী রাসবিহারী বসু এবং হেরম্বলাল গুপ্ত অন্যতম। তাঁরা যে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের দ্রোহভাবাপন্ন কবিতার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না তা বলা যাবে না। বিশেষ করে, ১৯২১ সালে নজরুল ইসলাম কর্তৃক রচিত “বিদ্রোহী” কবিতাটি যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল সমগ্র বাংলা অঞ্চলে তার তুলনা নেই বললেই চলে। নিশ্চয়ই উক্ত বাঙালি বিপ্লবীদ্বয়ও আলোড়িত হয়েছেন। ১৯১২ সালে যখন ভারতের শাসক ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জকে হত্যার জন্য দিল্লি-লাহোর ষড়যন্ত্র করেন এবং ব্যর্থ হন তাঁরা, তখন উপায়ন্তর না দেখে বছর দুয়েক ভারতের বিভিন্ন শহরে পলাতক জীবন কাটান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন ধরা পড়ার সমূহ আশঙ্কা দেখা দেয় তখন বাধ্য হয়ে দুজনে পালিয়ে জাপানে আশ্রয় গ্রহণ করেন ১৯১৫ সালে।
১৯২১ সালে যখন কবি নজরুলের “বিদ্রোহ” কবিতাটি তুমুল সাড়া জাগায় বাঙালি মননে, তার সংবাদ জাপান প্রবাসী বিপ্লবীদের কাছে নিঃসন্দেহেই পৌঁছেছিল। তখন তাঁরা উদীপ্ত ও উদ্বেল হয়েছিলেন বলাই বাহুল্য। তাঁরা কি সেই কবিতাটি পাঠ করেননি? অবশ্যই করেছেন। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুও প্রবলভাবে নজরুলভক্ত ছিলেন। তিনিও জাপানে এসেছেন এবং জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে ভারতের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন। সিঙ্গাপুরে গঠিত আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রধান সেনাপতি হিসেবে তিনি যে গানটি সেনাবাহিনির সমরসঙ্গীত হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন সেটি হল:
“কদম কদম বারহায়ে যা,
খুশি কি গীত গায়ে যা
ইয়ে জিন্দেগি হ্যায় কায়াম কি
তু কায়াম পে লুটায়ে যা….”
গানটি লেখা হয়েছিল ১৯৪২ সালে বলে জানা যায়। লিখেছেন বংশিধর শুক্লা এবং সুর করেছেন রাম সিং ঠাকুরি। এই গানটিতে কাজী নজরুল ইসলামের একটি বিখ্যাত এবং বহুশ্রুত গান “নতুনের গান” এর প্রভাব রয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়। ১৯২৯ সালে সেই গানটি নজরুল রচনা করেন। গানটি হল:
“ চল চল চল
ঊর্ধ গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণী তল
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চলরে চলরে চল….”
কবি কাজী নজরুল ইসলামের দ্রোহ মনোভাব নেতাজিকে গভীরভাবে উদ্বুদ্ধ করেছিল তাতে কোনো সন্দেহ দেখি না।
জাপানে অবস্থানকালে নিশ্চয়ই উক্ত মহান বিপ্লবীরা বিদ্রোহী কবির কবিতা স্মরণ করে থাকবেন বলে জোরালোভাবেই মনে হয়। গবেষণা করলে সেই তথ্য খুঁজে পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্যকর্ম যে কতিপয় জাপানি গবেষক ও শিল্পীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাঁদের মধ্যে জাপানশীর্ষ রবীন্দ্রগবেষক এবং বাংলা ভাষার পণ্ডিত অধ্যাপক কাজুও আজুমা, কবি ও শিল্পসমালোচক কুরাহাশি কেনইচি, কাজিওয়ারা নোবুইউকি, ইয়ানাই কাজুকো, বাংলা সাহিত্যানুরাগী গবেষিকা ও অধ্যাপিকা ড.নিওয়া কিওকো অন্যতম। পাশাপাশি বিশিষ্ট জাপানি রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী কাম্বে তোমোকো নজরুলগীতির সঙ্গে সুপরিচিত। একবার সাক্ষাৎকালে আমাকে বলেছিলেন নজরুলগীতিও তিনি বিশ্বভারতীর ছাত্রী থাকাকালে শিক্ষালাভ করেছেন। গাইতে পারেন নজরুলগীতি।
এই পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী কাজী নজরুলের নাম আপাতত প্রথম জানা যাচ্ছে একটি মুদ্রিত অনুষ্ঠানসূচি থেকে। মুদ্রণ সাল যদিও উল্লেখিত নেই উক্ত সূচিপত্রে, তবে অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তা হিসেবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মনোরঞ্জন ধরের নাম মুদ্রিত আছে। তিনি ১৯৭২ সালে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত ছিলেন। “বেনগারু বুনকা নো ইউবে: শি তো উতা তো অদোরি” (বাংলার সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা: কবিতা, গান এবং নৃত্য) নামক অনুষ্ঠানটির আয়োজক ছিল “বেনগারু বুনকা কিয়োকাই” (বাংলা সংস্কৃতি সমিতি), “বেনগারু ইউ নো কাই” (বাংলা বন্ধু সমিতি) এবং সহযোগী সংগঠন হিসেবে ছিল “নিচিইন তাগো-রু কিয়োকাই” (জাপান-ভারত টেগোর সমিতি) এবং “নিহোন-বানগুরাদেশু কিয়োকাই” (জাপান-বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন)। এই অনুষ্ঠানের সূচিতে নজরুলের “কাণ্ডারী হুঁশিয়ার” কবিতাটির আবৃত্তি এবং কাজী নজরুল সম্পর্কে ব্যাখ্যাবিষয়ক দুটি কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
পরবর্তী দলিল হিসেবে নজরুলের নাম পাওয়া যায়, ১৯৭৪ সালের ২৫ অক্টোবর তারিখে জাপানে ‘ইউনেসুকো শিম্বুন’ অর্থাৎ ‘ইউনেসকো পত্রিকা’ নামে নিউজপ্রিন্টে মুদ্রিত এক পাতার একটি কাগজে। পত্রিকাটি মূলত সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য সাহায্য সংগ্রহের আবেদনকৃত একটি বিজ্ঞাপনী প্রচারপত্র।
এই পত্রিকায় মোট ৭টি বিষয় মুদ্রিত। জাপানি লেখা যেহেতু ডানদিক থেকে পড়তে হয় তাই প্রথম বিষয়টি চমকে ওঠার মতো! বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের সুবিখ্যাত কবিতা ‘কাণ্ডারী হুশিয়ার’ এর জাপানি ভাষায় অনুবাদ! অনুবাদ করেছেন সেইসময়কার খ্যাতিমান রবীন্দ্রগবেষক, বাংলা ভাষার পণ্ডিত, বিশ্বভারতীর জাপানি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক এবং ১৯৭৩ সালে জাপান ভ্রমণের সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দোভাষী অধ্যাপক কাজুও আজুমা। অনুবাদকৃত কবিতাটির নাম “কাজি তোরু হিত য়ো কোকোরো ছেও” / কাজি নোজুরুরু ইসুরামু। কবিতাটির শেষে অনুবাদক দুছত্র কথা লিখেছেন, যা বাংলা করলে দাঁড়ায়: “নজরুল ইসলাম, (তাঁর) ৩৪ বছর বয়সের কবিতা। এই কবিতায়, ইসলামের স্বকৃত সুর বিদ্যমান এবং জাতীয় গান অনুসারে ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের জনগণদ্বারা সমাদৃত ও গীত।”
৪র্থ বিষয়টি হচ্ছে, বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলামকে নিয়ে লিখিত একটি নিবন্ধ। লিখেছেন পূর্বোক্ত অধ্যাপক কাজুও আজুমা। তিনি কবি কাজী নজরুল ইসলামের পরিচয় দিতে গিয়ে বাংলা অঞ্চলকে নবজাগরণ এবং বিদ্রোহের সূতিকাগার বলে অভিহিত করেছেন। তিনি যা বলেছেন বাংলায় তা হল: “বাংলার বিয়োগান্তক ঘটনা, বাংলার তেজোদ্দীপনার বাহক এবং প্রতীক হচ্ছেন নজরুল ইসলাম। তিনি হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন।”
নিবন্ধের এক জায়গায় অধ্যাপক আজুমা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কথা লিখেছেন, বাংলায় হল: “(নজরুল) ইসলাম প্রবল অনুরাগ নিয়ে স্বাধীনতার মেনিফেস্টো ঘোষণা করেছিলেন, সেই দীর্ঘসূত্র ধরে আজকের বাংলাদেশ স্বাধীনতার বাস্তব রূপ লাভ করেছে। ১৯৪১ সালের পর থেকে বিয়োগী (নজরুল) ইসলাম ভাষাহীন জগতে বাংলার সাক্ষী হয়ে আছেন।
(নজরুল) ইসলাম বাংলা ভাষাকে সবকিছু থেকে ভালোবেসেছেন, সবকিছুই বাংলা ভাষায় প্রকাশ করেছেন। সেই বাংলার মাটিতে বাংলা ভাষায় চিন্তা, শিক্ষা গ্রহণ করে বাংলায় প্রকাশ করার অধিকার রক্ষায় বাংলা ভাষা প্রতিরক্ষা আন্দোলন প্রথম ঘটনা হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার রূপ লাভ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তিন জন অধ্যাপক স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় লক্ষ্যবস্তু ছিলেন। অপহরণ করে তাঁদেরকে হত্যা করা হয়। আমরা তাঁদের মধ্যে সবচে খ্যাতিমান মুনীর চৌধুরীকে কয়েক বছর আগে জাপানে অভ্যর্থনা জানিয়ে বাংলা সংস্কৃতির কথা বলতে বলেছিলাম এবং গভীর বন্ধুত্ব করেছিলাম। তাঁর মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঢাকায় গিয়ে বিধবা পত্নীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় সেই বেদনার গভীরতা অনুভব করে নিজের ভাষা ও সংস্কৃতিকে রক্ষার জন্য জীবন দেয়ার নির্মমতায় মাথা তুলে দাঁড়াতে পারিনি!
সেই বাংলা সাহিত্যের দুটি মহাতারকা হচ্ছেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং নজরুল ইসলাম।”
জাপান ইউনেসকোর এই একপাতার পত্রিকাতে বিশিষ্ট জাপানি আলোকচিত্রধারক এবং “শাপলা নীড়” এনজিওর অন্যতম প্রধান কর্মী য়োশিদা শিগেরুর একটি আলোকচিত্র প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হয়েছে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি ছোট্ট ছবি যা তৎকালীন অনেক জাপানির দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকবে। উল্লেখ্য যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন জাপানে ব্যাপকভাবে পরিচিত তেমনটি নন কাজী নজরুল ইসলাম। তথাপি, জাপানের (AALA (Asian Association for Language Assessment) Vol.3 ’72/DEC) বেনগারু শিজিন কাজি নোজুরুরু ইসুরামু তোকুশুউ (বাঙালি কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশেষ সংখ্যা) নামক একটি প্রকাশনায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই কবিতাটির জাপানি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে বলে জানা যায়, বিলুপ্ত বাংলাদেশ সোসাইটি-জাপান কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ পোট্রেট’ (মার্চ ২৬, ১৯৮১) স্বাধীনতা দিবস স্মারক সংকলন থেকে। কবিতাটির শিরোনাম আধ্যাপক আজুমার অনূদিত শিরোনাম থেকে ভিন্ন “কি অ ৎসুকেরোয়ো ফুনাচোও” (সাবধানে নাবিক) নামে মুদ্রিত। এটা যৌথভাবে অনুবাদ করেছেন যথাক্রমে কবি ও শিল্পসমালোচক কুরাহাশি কেনইচি, কাজিওয়ারা নোবুইউকি এবং ইয়ানাই কাজুকো।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার জাপানি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে, মূল বাংলা থেকে বিস্তৃতভাবে অনুবাদ করেছেন অধ্যাপিকা নিওয়া কিওকো। “নজরুরু শিশুউ” তথা “নজরুল কবিতা সংকলন” নামে এই গ্রন্থটি ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি নজরুলগীতি নিয়েও ব্যাপক গবেষণা করেছেন এবং লিখেছেন মননশীল প্রবন্ধ।
২০১৭ সালের ১২ জুন তারিখে টোকিও বিশ্ববিদ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে “তাগো-রু তো নজরুরু নো ইউবে: শি নো রোওদোকু তো উতা” (রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল সন্ধ্যা: কবিতা আবৃত্তি ও গান) নামক একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বাংলা ভাষা বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এভাবে ধীরে ধীরে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাম জাপানে ছড়িয়ে পড়ছে। আশা করা যাচ্ছে অদূর ভবিষ্যতে কবির জীবন, সাহিত্য ও সঙ্গীত নিয়ে আরও আলোচনা ও গবেষণা হবে জাপানি ভাষায়।