বহু পরিচয়ে পরিচিত, বহুগুণের গুণীন অধ্যাপক, রাজনীতিবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, কক্সবাজারের কৃতিসন্তান মুফীদুল আলম শুক্রবার (৩০জুলাই) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
তার মৃত্যতে অপুরণীয় ক্ষতি সাংস্কৃতিক অঙ্গণে। তিনি ১৪ জুলাই ১৯৪৩ সালে রামু উপজেলার দক্ষিণ মিঠাছড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তিনি ১৯৬৯ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে এমএ পাস করেন। ১৯৭৩ সালে এলএলবি করেন। একই বছর অ্যাডভোকেটশিপ সনদ লাভ করেন কিন্তু আইন পেশায় যাননি। ১৯৭০ সালে কক্সবাজার কলেজে ইংরেজি প্রভাষক হিসাবে যোগ দেন। রাজনীতির পাশাপাশি সাংবাদিকতার সাথেও জড়িত ছিলেন। ১৯৭৬ সালে কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সহসভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন। দীর্ঘদিন পর পুনরায় তিনি অধ্যাপনায় ফিরে আসেন। ঢাকার আহসানুল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন অধ্যাপক পদে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০৬ সালে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ও পরে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। নাট্যকার, গীতিকার, অনুবাদক স্বনামে বেনামে অনেক বইয়ের লেখক মুফীদুল আলম ১৯৭৪ থেকে কক্সবাজারের প্রথম সংগীত বিদ্যালয় সংগীতায়তনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন ও এর উন্নয়নে ভূমিকা রাখেন। তিনি ছাত্র অবস্থা থেকেই বাম রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। ১৯৭০ সালে ন্যাপে ( ভাসানী) যোগ দেন। ১৯৭৪-১৯৭৬ পর্যন্ত জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭৩ সালে কক্সবাজার- রামু- টেকনাফ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অনেক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকলে উনি ছিলেন একজন সাহিত্যমোদি, চিন্তক ও গভীর দার্শনিকতায় ঋদ্ধ। যারাই উনার কাছে এসেছিলেন সবাইকে ঋদ্ধ করছেন। রুবাইয়াতে ওমর খৈয়াম ও মাও সে তুঙ চিন্তাধারার পর্যালোচনা বই দুটি তার সাম্প্রতিক আলোচিত কাজ।