এই সর্ষেরঙা রোদটুকু যাচ্ছে কোথায় বলুন দেখি, বারবার? পায়রাপাহাড়ের পেছনে নাকি আকাশের আলনায় ঝুলানো মেঘের ভাঁজে চাপা পড়ে যাচ্ছে? সে কি থিতু হয়ে বসবার কোনো স্থানই পাচ্ছে না? নাকি আমিই তাঁকে আমার এই ঘর আর ঐ আঙিনার খণ্ডিত সুবাসের মধ্যে বসবার ব্যবস্থাই করতে পারছি না!
তবে আর ঐ তালুকছাড়া রোদের কি দোষ বলুন? সে তো লাইসেন্স ও হ্যালমেট ছাড়া সাইকেলে প্যাডাল মারবেই-চাঙ্খার পুল থেকে লিভারপুল।
ওরে ও অইলদা ফইটক্যা রইদ তুমি কি জানো না, বুঝো না কুনু কুন্তাই? যে এই এবেলাটাই যে কুসুমের ক্রান্তিকাল।দয়া করো, ধৈর্য ধরো, তিষ্টাও ক্ষণকাল।
তিরিশ দশক কাটিয়াছি আর কত কাল কাটাবো আমি বিলেতের এ বৈষম্য বিছানায়! আমারও তো নিজ জ্ঞাতি-গোষ্ঠির তক্তপোষ বরফবৃষ্টি থেকে বাঁচাতে ইচ্ছে করে। চোখের জলে ভেজা সিথানটা শুকোতে ইচ্ছে করে।
রোদবালক শোনো, তুমি তো আর লর্ডসের মাঠে ক্রিকেট খেলছো না যে প্রকাশ্যে তোমাকে ছক্কা মারতে হবে ? একটু লুকিয়ে চুরিয়েই আসো শীতের রাতে, আসো গোপন গোলাপ চা’য়ের মতো, আসো বর্ষায় মাটির চুলোর ঘেরে চুরিকরা উষ্ণতার মতো, আসো স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় মার্বল আর্চের গথিক গীর্জা চূড়োর হাল্কা চাঁদের মতো।তুমি আরেক বার আসিয়া যাও মোরে মারিয়া।
আমি কথা দিচ্ছি, ঐ বিন্দু সময়ের মধ্যেই দ্রুত আমার বাক্সর ডালায় শেষ পেরেকটি ঠিকই ঠুকে দেবো তারপর, যা হবার তাই হবে।
হয়তো সাগরে ভাসা সে ভষ্মদল জলে গুলে যাবার আগেই কোন এক চঞ্চল চঞ্চু তার একটু গুঁড়ো পরম আদরে তুলে নেবে। তারপর ঠোঁটে করে ডানার ঝলকে পলকে পলকে অন্ধকার ঠাহর করে করে পাড়ি দেবে দাউ দাউ বেদনা আমার।।