অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার পেলেন রঞ্জনা বিশ্বাস


কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য এবার (২০২২) ‘অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার ১৪২৮’ সম্মাননা পেলেন লেখক ও প্রাবন্ধিক রঞ্জনা বিশ্বাস।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ ২০২২) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে কবি, কথাসাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক আকিমুন রহমান ও দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন এ পুরস্কার তুলে দেন।

আকিমুন রহমান বলেন, রঞ্জনা বিশ্বাস একজন সৃজনশীল ও মননশীল লেখক। এ পর্যন্ত তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২৪। তিনি বেদে জনগোষ্ঠী ও লোক-ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা করছেন। মুক্তিযুদ্ধ ও লোকসাহিত্য তার গবেষণার প্রধান বিষয়। ইতোপূর্বে ‘কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার’ এবং ‘ব্র্যাক ব্যাংক সমকাল সাহিত্য পুরস্কার’ পেয়েছেন রঞ্জনা বিশ্বাস।

পুরস্কার পেয়ে রঞ্জনা বিশ্বাস বলেন, ১৫ বছর আগে যে জীবনকে অর্থহীন মনে করেছি আজ সে জীবন অনন্যার স্বীকৃতি পাচ্ছে। এ বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না। জীবনবিমুখ মানুষদের বলতে চাই এখানে আলো আছে, জীবনকে উপলব্ধি করতে শেখো। বিশেষত, সেসব নারীরা যারা জীবনের অর্থ খুঁজে পান না৷ আমি বলবো জীবনকে প্রয়োজনীয় না করে প্রয়োজনীয় জীবনের পথে হাঁটো৷ আমি আমার পুরস্কার আমার দিদিকে উৎসর্গ করছি। আজ অনন্যা আমার হাতে যে পুরস্কারের পদক তুলে দিয়েছে সে আলো জ্বেলে রাখার চেষ্টা করবো।

রঞ্জনা বিশ্বাসের প্রকাশিত কবিতার বইগুলাের মধ্যে আছে- আমি তিনবেলা বৃষ্টিতে ভিজি (২০১০) ও বেদনার পাথর ও প্রান্তিক দীর্ঘশ্বাস (২০১৬)। উপন্যাস- বিষ্যুদবারের বারবেলা (২০১৭)। শিশুতােষ বইয়ের মধ্যে জয়নালবাদশা ও রাজপুত্র তাজেম (২০১১), উড়াল ও ঘােড়া (২০১৭)। গবেষণা ও প্রবন্ধের মধ্যে রয়েছে বেদে জনগােষ্ঠীর জীবনযাত্রা (২০১১), বাংলাদেশের পালকি ও পালকিবাহক: নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিকধারা (২০১৫), বাংলাদেশের বেদে জনগােষ্ঠীর নৃতাত্ত্বিক পরিচয় (২০১৫), রবীন্দ্রনাথ: কাবুলিওয়ালা, সুভা ও দালিয়া (২০১২), সাহিত্যে বেদে সম্প্রদায় (২০১৬), কিতুবীম হিব্রু কবিতার সাহিত্যমূল্য (২০১৭) ও লােকসংস্কৃতিতে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ (২০১৭)।

উল্লেখ্য, বাংলা ১৪০১ সন থেকে (১৯৯৩ সাল) থেকে প্রতি বছর একজন নারী সাহিত্যিককে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২৬ জন নারী সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এ পুরস্কার পেয়েছেন।