ক্ষোভ-বিক্ষোভ
জলবায়ুর পরিবর্তনে চরম দৈন্যতায় চশমার
কাঁচে নাচছে নিষিদ্ধ মেরুর শ্বেতভল্লুক-
বেসাতি খোঁজা প্রিয়ার চোখ না পাওয়ার হাহাকারে
ভীষণ ঘোলাটে।জুটেছে আজ এমনই আপদ
সাহিত্যের পসরা পিঠে নিয়ে ছোটা
অশ্বশাবকদের ঘর্মাক্ত ললাটে।
অযোগ্যদের হাতে কে তুলে দিয়েছে কৃষ্টির আধার
ঝেটিয়ে বিদায় করো সব অনাসৃষ্টি- সব দুরাচার।
আসুক দড়িছেড়া ঝড়, নিক উড়িয়ে যতো মহাজঞ্জাল
সব ভাসিয়ে নেয়া তুমুল এক বর্ষার, বড়ো দরকার।
নড়ে যাওয়া দাঁত
তোমার মতো আমিও এখন পথের মাঝখানে থমকে দাঁড়াই
কেমন যেনো সব হয়ে যাচ্ছে ওলটপালট, আগে তুমি যা করতে
সবই এখন আমার স্বভাবজাত।অথচ তুমি বদলে যাচ্ছো
নিজের স্বভাব হারাচ্ছো, হয়ে যাচ্ছো আগের আমারই মতো।
একদিন তোমাকে খুব তিরস্কারে ডুবিয়েছিলাম, মনে হচ্ছে
আমি এখন নিজেই ডুবে যাচ্ছি।কতটা অতলে গেলে রসাতলে
বলে সেটাই বুঝতে পারছি না।কখনো বুঝবো কিনা কিংবা
আদৌ সে বোধোদয় জাগবে কিনা-তাও জানি না।
এখনো আমি প্রকৃতি দেখি।অবগাহন করি পেলব সুখের
প্রেম জড়ানো সূর্যোদয়ে কিংবা জোৎস্না ছড়ানো চন্দ্রালোকে।
মনে হয় সব ঠিকই আছে, আবার মনে হয় কিছুই ঠিক নেই-
সবি যেনো সেই নড়ে যাওয়া দাঁত, কেয়া বাত কেয়া বাত।
শুধু স্বপ্নভাঙা গান
বৃষ্টি হবে, ধূলিকণা উড়ে যাবে
প্রকৃতি গরবে বুক ফুলিয়ে বলবে
আমি এখন সুনির্মল।
ধূলিকণা ভাবে প্রকৃতি তার অধিকার আর
প্রকৃতির চোখে মহাজঞ্জাল ধূলিকণা।
ধূলোর শরীর নাকি ধূলোতেই হয় লীন-
ধূলোর গড়া শরীরের স্বপ্ন রঙীন
একদিন ভেঙে যায়,
যদি খাঁচার পাখি যায় উড়ে যায়।
এখন চারদিকে শুধু স্বপ্নভাঙা গান,
লাল নীল সবুজ হলুদ স্বপ্নগুলো ভেঙে
হয়ে যাচ্ছে খান খান।
এখন কান্নাগুলো হয়ে যাচ্ছে বোবা
নদীর জলও ধূলোয় ধূলোয় হচ্ছে এঁদো ডোবা।
এখন ধূলিকণা মহাজঞ্জাল-
এখন প্রকৃতির চলছে করোনাকাল।
বৃষ্টি বড়ো অসময়ে যাচ্ছে বয়ে
ধূলোয় গড়া প্রতিমাও যাচ্ছে লয়ে।
যদি বলো আসব
উষ্ণতা বসন্ত হেমন্ত ফুরালো
চাঁদ হারাল আলো
ভাল ভাল স্টেশনও পেরিয়ে এলো গাড়ি
থামা হলোনা
নামা হলোনা,
ইচ্ছে হলে একটু ঝালটাল খাওয়া যেতো
রবীন্দ্রনাথের দু-একটা লাইনও না হয় হতো!
এবার শীতের মাত্রাটা সাতরাবার মতো নয়
অতো পারদ নামলে কী আর নতুন করে প্রেম হয়!
আবার উষ্ণতা ফিরুক
না হয় আসুক বসন্ত
তখন না হয় গান গাইব
তবে, যদি ডাকো…
ধরো হাত
দিলেম তোমাকে এক মুঠো ভালবাসা আর
পেয়ালা ভরে ক্যামেলিয়া সিনেসিস ধোয়া জল
পান করে উষ্ণ হও সখা, আমাকেও উষ্ণ করো-
কবোষ্ণ প্রেমের এ কাঙালের ধরো হাত..