মেঘ জমেছে
আঙুল টিপের সময় হলেই
দু’পায়ী প্রাণীর আনাগোনা বেড়ে যায়।
ছলনা-কৌশলের শরণাপন্ন হয়ে
অন্তরের গভীর কক্ষে প্রবেশ করে
ছলাকলার এসব কায়দা কানুন মুখস্থ।
বাড়ির উঠানে, দাওয়ায়, অন্দরমহলে
দাঁড়িয়ে, স্বপ্নজ্জল চোখে স্বপ্নবিলায়।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মফস্বল শহরে সহজ সরল
মানুষগুলো দুগ্ধপোষ্য শিশুর মতোই
সুখময় আগমন বার্তা ঘোষণা শুনে
গাঁদা ফুল থেকে হয়ে যায় গোলাপ ফুল।
বিজয়ের শ্লোগান শেষ হতেই, কিছুদিন পর
স্টিমারের ঘূর্ণ্যমান পাখার মতো ঘুরতে ঘুরতে
হঠাৎ মেঘশূন্য আকাশে বজ্রাঘাতে মতোই
স্বপ্নের ফসলের মাঠে নেমে আসে শিলাবৃষ্টি!
ফ্যাকাসে হয় হতভাগ্যদের আকাঙ্ক্ষা
অস্পষ্ট হয়ে ওঠে অন্দরমহলের অভ্যন্তর।
পাঁচ বছরে একবার আঙুল টিপা মানুষগুলো
বুঝে যায়, তাদের ভাগ্য দিগন্তে হেলেপড়া
সূর্যের ওপর যেমন মেঘ জমে ঠিক তেমনই।
দুশ্চিন্তার অমাবস্যা
উনুনের আগুন যতবার জ্বালায় ততবারই দেখি সর্বাঙ্গিনীর চোখে মুখে দুশ্চিন্তার অমাবস্যা।
এই যে মানুষ হয়ে জন্ম নেওয়া; পৃথিবীতে আসা
কুকুর বিড়ালের মতো বেঁচে থাকার লড়াই!
দ্বিতীয় জন্ম বলে যদি কিছু থাকে….
তবে পৃথিবীর বুকে থু থু ছিটিয়ে দেব ঘৃণায়-
বিধারতার সাথে চুক্তি করে নেব-
ফের যদি পৃথিবীতে পাঠাতে চায়! আসতেই হয়,
তবে পুনর্জন্মে আমি বিশ্বাসী নই।
শর্ত দেব-সুন্দরী নারী বা ক্ষমতাসীন
অথবা বিত্তশালী রূপে আগমন হোক।
নয়তো পৃথিবীর বুকে থু থু ছিটিয়ে দিয়ে বলবো-
পৃথিবীতে পুনরায় আসার প্রয়োজন বোধ করি না।