কফি
ঠিক বারোটা বেজে সাইত্রিশ মিনিটে
মৃত্যু হয়েছে আমার আত্মার।
আমি পাশেই ছিলাম।
সে প্রচণ্ড ঘামছিলো,
চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে ছিলো আমার দিকে
হাত বাড়িয়ে ভিক্ষা চাইছিলো…একটু অক্সিজেন দাও প্লিজ,
বেঈমানি করো না,
এতদিন সাথেই তো ছিলাম।
আমি নির্লিপ্ত চোখে আমার বিদায়ী আত্মার দিকে চেয়ে
বেনসন লাইট ঠোঁটের ফাঁকে গুঁজে দিলাম।
এই শালা প্রতারণা করেছে জন্ম থেকে
এই অবদি আমার সাথে।
ন্যায়, ন্যায় আর ন্যায়ের আন্দোলনে
আমাকে বঞ্চিত করেছে আলোর হাতছানি থেকে।
নিজের গায়ে সোঁদা মাটির গন্ধ নিয়ে
আমি শুধু ভালোবেসেই গেলাম।
দিনশেষে কপালে জুটলো
মোটা চালের বোঝা,
সন্তানের মৃত্যু কিংবা উড়ন্ত অর্থ
আমাকে অন্ধকারে রেখে
শালা ন্যায় শিখাচ্ছিল খুব।
মিলিয়ে দিয়েছি আত্মার কফিতে বিষ,
মর বেটা হাদারাম
তোর প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে এই কালে,
এবার তুই বিদায় হ।
অপমিত
কোটি কোটি তারে সমুদ্র নোনাজল
বিদ্যুৎ স্পৃশ্য জীবনের খেলাঘর।
আমি পাড়ে ভেসে রই একা
হয়তো দারুণ বিচ্যুত,
নই তোমার গিটারের অহঙ্কার।
নতুবা হতে পারিনি একান্ত অভিমান,
তবুও আমাকে পারবে কি অস্বীকার করতে,
আমার হাততালির আলোকে
তোমার শত চিৎকার।
আমি মাথা পেতে নেই
আমি আজ দল চূত
আমি অপমিত..
স্পর্শ
স্পর্শহীন জীবনে কবিতারা অচ্ছুত,
নগ্নতার কিছু ভাষা থাকে রসায়নে।
মিলনেরও ব্যথা থাকে,
থাকে বিচ্ছেদে গভীর প্রেম।
ঠোঁটে ঠোঁট যা বলে, বুঝাতে পেরেছে লিখে কে কবে?
আঙ্গুলে আঙ্গুলের ছোঁয়া
হিরোশিমা নাগাসাকি পদতলে।
একটু স্পর্শ পেলে লেখা হতো হয়তো মহাকাব্য আবার,
একটু স্পর্শে জানো না মৃত্যু হয়েছে হাজার হাহাকার।
একটু স্পর্শ আবশ্যিক কাব্যে অথবা বাস্তবে,
একটি স্পর্শের জন্য মিছিল হোক
মশাল জ্বলুক রাজপথে।