সম্পর্কে জড়ানোর জন্য অভিকর্ষ বলের কোনোই দোষ নেই।আলবার্ট আইনস্টাইনের কথাটি হয়তো এই মহান বিজ্ঞানী মজার ছলে বলেছিলেন।আসলে একজন মানুষ জন্মের পর ধীরে ধীরে তার কাছের মানুষগুলোকে চিনতে শুরু করে।তারপর সে দূরের সম্পর্কগুলোকে জানার চেষ্টা করে।কাছে দূরের এই যোজন-বিয়োজনের পারস্পরিক ক্রিয়ার রসায়নে একটা সময় হয়তো কোনো সম্পর্ক মধুময় হয়ে ওঠে, কখনো বা তিক্ত।আবার এই তিক্ত সম্পর্ক সৃষ্টির নিয়ামক হয় মানুষের লোভ, শঠতা ও অহঙ্কার।মাঝে মাঝে কিছু সম্পর্ক সামাজিক বিধি-নিষেধের গোলকধাঁধায় পড়ে আবার নিষিদ্ধও ঘোষিত হয়।সেই সম্পর্কগুলোর হয়তো কোনো নামও হয় না।অথচ নামহীন এমন সম্পর্কের ভার সারাজীবন মনে ভেতরেই থেকে যায়।
মানুষের বৈচিত্র্যময় আন্তঃসম্পর্কের পাপপূণ্যের পরিধি বিশ্লেষণ করে লেখক ‘নিমপাতার পাকোড়া নিষিদ্ধ আলিঙ্গন’ গল্পগ্রন্থে সেসব নিষিদ্ধ সম্পর্কগুলোকেই আলিঙ্গনের চেষ্টা করেছেন।শুধু মানবিক সম্পর্কের পূর্বাপর অন্বেষণ নয়, সামাজিক অবক্ষয় আর বিচ্ছিন্নতাও এই গল্পগুলো নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে।
এসব গল্প নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ইসরাত জাহানের গল্পগ্রন্থ নিমপাতার পাকোড়ার নিষিদ্ধ আলিঙ্গন। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে অনুপ্রাণন প্রকাশন। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন নির্ঝর নৈশব্দ্য।দাম ২০৬ টাকা।