হে বনভূমি
হে বনভূমি, আমি শুকে যাচ্ছি তোমার হৃদয়
একজন প্রশিক্ষিত কুকুরের মতো
কোথায় লুকিয়ে রেখেছ তোমার সেই দানবীয় রুপ!
সহস্র পেরেকঠোকা মিস্ত্রির মতো কোরোনা বিদ্রুপ
নষ্ট করে ফেলা হোকনা ঘর, খাঁড়ি আর জঙ্গলি গীত
বনভোজনের কারণে দু চারটে মুরগি, হারিয়ে গেছে
ধর তোমার লাঞ্চিত দেহে বার বার অ্যাডভেঞ্চার হবে
আর আমরা সিনেমা বানাবো বানোয়াট গল্পের মৃদু শীতে।
আমার আফ্রোদিতি
আরো কিছুটা কাল
রৌদ্রময় প্রত্নতত্ত্ব তুমি
যদি বিলীন না হতে
আমার আফ্রোদিতি
এই বয়স ফুলের বাতাস
পুষে রাখি, শতাব্দীর স্মৃতি
হাড় থেকে গন্ধ পাঁক খায়
মুছেছ, রাত্রির গ্লানি
পল্লব পেতে রাখে মায়া
ঘোর ছুটে গেলে শুনি-
নিঃসঙ্গতা
১.
আমার নিঃসঙ্গতা দূর্গার একান্তে টিপ পরার দৃশ্য।
২.
আমি সবসময় একা এবং বিধস্ত,
গম্বুজহীন দারাসবাড়ি
মসজিদের মতো।
প্রাচীন উপাসনালয়ে কাকতাড়ুয়া
প্রাচীন উপাসনালয়ের মতো খা খা
করছে
ভিখারিনীর ঘর-
লাত, মানাত ও উজ্জার মতো
তাদের পথ
দেখিয়ে দাও
যারা
সমস্ত শ্রমিক প্রজার মাজা ব্যথার কারণ।
প্রতিনিয়ত উই পোকার মতো
আক্রমণ করে
খেয়ে ফেলেছে
আত্মা-
কেয়ামতের আলামত হয়ে তারাই
ভূমিষ্ট
হয়েছে
আমাদের রক্তে, ও রন্ধ্রে রন্ধ্রে
এবং তুলে দিয়েছে
টাকার বেহেশত
যেখানে গচ্ছিত
ছিল
মধ্যপ্রাচ্য থেকে বয়ে আসা
ঘাম
রক্ত
যৌবন
মৃত্যু
যাকে বিশ্বাস করেছিল
সুদের উপর
শেষ আশ্রয়টুকু রেখে
যাওয়া মানুষ
তারা
কাঁদতে
কাঁদতে
শেষ কবে জন্ম কাবা ছুঁয়েছে
সে এক মনে করার
করুণ প্রয়াস।
তুমি
এভাবে
তিলে তিলে
গড়ে তোলা
মানুষের আলপনায়
নামিয়ে দিলে ক্ষমতার
ষাঁড়!
তোমাকে
ধিক্কার
প্রতিটি
অবাঞ্চিত
ঘাসের
মতো
লাশের ভেতর বেজে ওঠে
ধিক্কার
ধিক্কার
আওয়াজ।
এই ক্ষেত
নিজের কব্জায়
নিয়ে
চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের প্রতিমায়
গড়ে তুলেছ
মূর্তি –
বাগদাদ
ধ্বংসের সাথে
দুনিয়ার শিল্প জ্ঞানের
যেমন শেষ হয়
একটা অধ্যায়,
তেমনি তোমার
বারুদে ভরা উদর
সামলে রেখো
কখন
ছুটে আসে
আগুনের ফুলকি।
তারচে বরং নিজের সুসজ্জিত
খোঁয়ারে
চালান দাও
নিজের উৎশৃংখল ষাঁড়
আর বীর্যহীন নপুংসক ঘোড়া।
নইলে তারাই একদিন
ফসল
শেষ হলে
ক্ষেতের প্রধান রক্ষক
কাকতাড়ুয়াকেই খেয়ে ফেলবে
তখন
আপনার ছায়া কে মাড়াবে?
পরিবার পরিকল্পনা
আমি একটি লেবু গাছ লাগিয়েছিলাম
গাছটিকে এত পরিচর্যা করতাম যে শেষমেষ দেখা গেল গাছটির সব
লেবুই তেতো…