‘অ রুদ্ধ’র সম্মাননা পেলেন কবি ও কথাসাহিত্যিক নাহিদা আশরাফী।গত শনিবার (২৮ জানুয়ারি ২০২৩) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এই সম্মাননা প্রদান ও নাহিদা আশরাফীর লেখক-মনন নিয়ে মূল্যায়নী আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কথাশিল্পী আনোয়ারা সৈয়দ হক।প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথাশিল্পী সেলিম মোরশেদ।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন কথাশিল্পী নাসরীন জাহান, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত কথাশিল্পী পারভেজ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. নকিব মো. নসরুল্লাহ।নাহিদা আশরাফীর গল্প নিয়ে আলোচনা করেন কবি ও প্রাবন্ধিক শেখ ফিরোজ আহমেদ বাবু এবং গল্পলেখক প্রমিথ রায়হান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ রুদ্ধ’র আহ্বায়ক কথাসাহিত্যিক ইশরাত তানিয়া।তিনি তার বক্তব্যে ‘অ রুদ্ধ’কে একটা পাটাতন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন-এই পাটাতনের ওপর দাঁড়িয়ে ‘অ রুদ্ধ’র রুদ্ধদ্বার ভাঙবে ও সৃষ্টিশীল মানুষের আড়াল-চাপা শিল্পীসত্তাকে অন্বেষন করবে।
কবি ও কথাসিহ্যিক নাহিদা আশরাফীর হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেস্ট, সম্মাননাপত্র, চাদর ও ফুলের স্তবক তুলে দেন অনুষ্ঠানের সভাপতি, প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিরা।সম্মাননা গ্রহণ করার পর নাহিদা আশরাফী তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন এবং অ রুদ্ধকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আজকে আমার কোনো ভাষা নেই, শুধু কৃতজ্ঞতাটুকু প্রকাশ করা ছাড়া।
আলোচনাপর্ব শুরু করেন অ রুদ্ধ’র সদস্য সচিব, কবি ও গল্পকার আব্দুল আজিজ এরপর নাহিদা আশরাফীর গল্প নিয়ে আলোচনা করেন অরুদ্ধ’র সদস্য ও লেখক লাবণী মণ্ডল।
আলোচনার দ্বিতীয় পর্যায়ে কথাশিল্পী নাসরীন জাহান বলেন, মৌলিক সাহিত্য গোলাপ ফোটানোর মতোই কঠিন কাজ।যা সময় দাবি করে। নাহিদা আশরাফী সাংগঠনিক কাজের পাশাপাশি তার সৃজনশীল সত্তাটির প্রতি যেন যত্নশীল হন।
নাহিদা আশরাফীর বহুমুখী কার্যকলাপ সম্পর্কে মতামত ব্যক্ত করেন কথাশিল্পী পারভেজ হোসেন এবং তার সৃজনশীলতা অক্ষুণ্ণ থাকুক এই কামনা ব্যক্ত করেন।
কবি ও প্রাবন্ধিক শেখ ফিরোজ আহমদ বাবু বিশ্ব সাহিত্যের ছোটোগল্পের ধারাবাহিক ইতিহাস তুলে ধরে নাহিদা আশরাফীর কয়েকটি গল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রমিথ রায়হান নাহিদা আশরাফীর গল্পে রাজনীতি ও সমাজ বাস্তবতা চিহ্নিত করেন এবং এই ধারায় লেখার জন্য লেখককে আহ্বান জানান। ড. নকীব মো. নসরুল্লাহ নাহিদা আশরাফীর কয়েকটি গল্প নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানের শেষদিকে প্রধান অতিথি ও প্রধান আলোচক সেলিম মোরশেদ বক্তব্য রাখেন।নাহিদা আশরাফীর গল্প নিয়ে তিনি বলেন, নাহিদা আশরাফী ঢাকার লেখক নন, বাংলাদেশের লেখক। মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথি ও সভাপতি তার এই মূল্যায়নধর্মী আলোচনা হাতে সময় নিয়ে আরো বিস্তৃতভাবে করা হলে ভালো হতো বলে মতামত ব্যক্ত করেন।
সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারা সৈয়দ হক জানান, সুদীর্ঘ চার ঘণ্টা ধরে তিনি এই অনুষ্ঠানে গুণী বক্তাদের আলোচনা শুনেছেন।তিনি নাহিদা আশরাফীকে শক্তিমান লেখক হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তার সৃষ্টিশীলতা অব্যাহত থাকুক এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পাঠকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আলমগীর কবীর ও তুলি রহমান।অনুষ্ঠানে স্বাগত সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী স্মৃতিকণা পাল। নাহিদা আশরাফীর গল্প থেকে পাঠ করেন বাচিকশিল্পী উৎপলা ভট্টাচার্য, পলি পারভীন এবং মাসুম আজিজুল বাশার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন রশিদ কামাল।