এক অন্য বসন্ত ॥ সায়ন রায়


পেইন্টিং: সমর মজুমদার

বদলে যাওয়া যদি পদবি হয়,
তবে তোমার নাম বসন্ত।
হিমঝুড়ির মতো এসো শিমুলের সাথেই,
ক্যামেলিয়া, রুদ্রোপলাশ
সব সুন্দরের থেকেও সুন্দর তুমি হে বসন্ত
নাহ কাব্যিক ভাবে নাই বা বললাম,
পলাশ ফুলের মতোই ঘ্রানহীন তুমি হে,
আমার কাছে বসন্ত।

বারংবার প্রেমে পড়েছি
শান্তিনিকেতন এর অল্প ঠান্ডায় ,
হাতে ফুলের সাজি নিয়ে রমণী টিকে,
আমি ঠিকই খুঁজেছি।
হ্যাঁ, খুঁজেছি কোপায় তীরে,
খুঁজেছি সোনাঝুড়ির হাটের ভিড়ে।
চোখ রেখেছি কলা ভবনের সামনে
তুলির রঙে রাঙানো মেয়েটিকে কি দেখেছো কোথাও?
দেখেছো দিনের মাঝে চন্দ্রকে হতে তোমরা উধাও?
বিশ্বভারতীর রংখেলায়,
হাসি মুখটির হটাৎ দেখা
দেখা দূর থেকে
হাজারো হাসি মুখের ভিড়ে রং মাখা নীলচে লালের সোভাই
তোমাকে চিনে নিয়েছে চোখ।

তুমি ‘ওহে গৃহবাসীর’ মাঝে এড়িয়ে গেলেও
চিনেছে চোখ তোমাকেই,
তুমিই সেই বোধ হয়।

দোল যাত্রায় আমাদের পথ হয়তো সূদুর হবে,
সেই নিয়েই চলছে ভাবনা আমার এই মনে।
তবুও কিন্তু কোনো প্রশ্ন করেনি এই মুখ,
তোমার ওই আবির মাখা নয়নে।
কারণ!
কারণ এই বসন্তের প্রেম এসেছিল যে বছর আটেক আগেই।
বেকারত্বের দোহাইয়ে হারিয়েছিল তা কোনো এক বসন্ত যাত্রার-ই ভিড়ে।
তাই বারংবার আসি ফিরে,
এই ছাতিম তলার পিরে।
খুঁজতে নতুন নতুন গল্প
এই ওলিগলির ভিড়ে।
শুধুমাত্র এই গল্পের সাক্ষী থাকতে,
প্রেমের বসন্ত রা যেনো থেকে যায়
না হারায় যেনো ওরা চৈত্র মেলার ওই ভিড়ে।