বেহাত হাজারো স্মৃতি
তুমি কি বেঁধেছ আমাকে বুকের পাঁজরে বেণীর বুননে!
যেখানে উষ্ণতা ফোটায় গোলাপ গাঁদা বেলি
অহর্নিশ ভেসে আসা সৌরভে
ডুব দিয়ে যায় পানকৌড়ির মতো
ফেরারি পাখির বিষাদ নোঙরে
তুমি কি রেখেছো কিছু সংগোপনে!
সখা বলে যাও, বলে দাও!
আমার ভেতর
কথা কাব্য নিত্য খেলা করে
সহস্র সওয়াল ফেরি করে
শ্রান্ত শরীরে অপেক্ষার চাদর বুনে
বেহাত হাজারো স্মৃতির কোমল বালুচরে ।
আমার কিসে মুক্তি
একটা অলক্ষুণে বিকেলের হাত ধরে
এপাশ ওপাশ খুঁজে বেড়ালাম যাকে
তার লেশমাত্র না পেয়ে, যাকে পেলাম
তার মতো বিরক্তিকর পৃথিবীতে আর কিছু নেই
কিন্তু নিরুপায়! গিলে নিতে হবে নিভৃতে নিঃশব্দে
ছলনায় নিজেকে সঁপে দিয়ে জানাতে হবে
তাকে পেয়ে ভীষণ ধন্য!
এমন কেন হয়! এমন হয় বলেই
আড়াল আঙিনায় শুয়ে থাকে সহস্র শব্দ
অস্পষ্টবাদী হয়ে পড়ি ক্রমাগত
হরদম কুরে কুরে খায় মনের এপাশ ওপাশ
নির্ঘুম কৃষ্ণপক্ষের কোন এক রাতে প্রতিবাদী হয়ে উঠি
লঙ্কার মতো জ্বলে ওঠে শরীর
একান্ত নিজের মাঝে ফুঁসে ওঠে ঘৃণা ক্রোধ
গতির অনুকূলে জেগে থাকে তুমুল প্রতিবন্ধকতা
একটি নতুন ভোর ভিন্ন আয়োজনে বিভোর করে
তাইতো লুকিয়ে রাখি ক্যাঙ্গারু গহ্বরে
এমন কেন হয়! শুধু কি আমার হয়!
বিধাতার গোচরেই আদ্যোপান্ত
হে বিধি! তোমায় বড্ড ভালোবাসি
আমি কি চাই! সে -তো তোমার অজানা নয়!
বরং জানিয়ে দাও
আমার কিসে মুক্তি!
না ফেরা প্রেম নদী
দূরের আলোয় ফোটে ঝলমলে রাতের শিশির
ওইখানে পাতা আছে প্রাক্তন, না ফেরা প্রেম নদী
নিয়ত ভাসাই তরী ভেসে যাই স্বীয় অনুরাগে
ফিরবে না তুমি! তবু নিত্য বুক পকেটের ভাঁজে
খেলে যাও সকাল দুপুর রাত কিংবা ভোর ছুঁয়ে
অধরা আমেজ নিয়ে স্বপ্ন বুনি সিথানে অঘোরে
আসল জন্মের কাছে ছিলে ম্লান, এখন অপূর্ব
সেলাই করি সমূহ ক্ষণ আর কস্তুরি নিমগ্ন।
সময়ের সুখ
তুমি বসন্ত গোলাপ
তোমার অধর ছুঁয়ে উষ্ণতার স্রোতে
দাঁড়িয়ে দেখি-হাত বাড়িয়ে আছে আফ্রোদিতি
আমি অলস রোদের ম্লান চোখে
চোখ রেখে মগ্ন হয়ে উঠি
ঝলমলে বরফ রঙের ঝরনা ধারায়
নৈঃশব্দ্যের নূপুর পরা প্রহরের সৌন্দর্য
জড়িয়ে রেখেছে আমার
তুমুল ইচ্ছের তুলতুলে গাল
নিজেকেই দেখি বারবার
সময়ের সুখ খুঁজে খুঁজে
ভুলে যাই বিরুদ্ধ আওয়াজ
এ আমার ভীষণ রকম অসুখ
সময়ের সুখ।
অগোছালো উপাখ্যান
দুটো হাত এক করে প্রহর পেছনে ফেলে হেঁটে যাই
ছুঁয়ে বাকহীন নীরবতা
কোলাহল ছুটে চলে, ছুটি দেয় আমাদের
ঘিরে রাখে নিস্তব্ধতা
উষ্ণতা বয়ে যায় দোল খায় ধমনিতে
কাছে এসে গেয়ে যায়
গহিনের গান
মনে পড়ে কবিতায় জীবনের জানালায়
মগ্নতা ঘেরাটোপে জিজ্ঞাসা থরে থরে!
জবাব খুঁজে যায়
চোরকাঁটা, পাতাঝরা ঘাসের ডগায়
ব্যস্ত শালিকের ঘরবাঁধা খড়কুটো
আর কপোত জুটির আড়াল সীমানায়
শিরোনামহীন স্বপ্ন গল্প
গাঢ় রাতের শ্রাবণের মতো একাকী ঝরে যায়
রেখে যায়
মহুয়া মাতাল চোখের ভাষায়
অগোছালো এক উপাখ্যান।