শূন্যতা
শতাব্দীর ধুলো জমা হয়েছে শূন্যে,
বিস্তীর্ণ আকাশের বুকে এক তীব্র হাহাকার-
আকাশের বুকে কোনো নতুন আকাশ তো নেই,
যেটুকু আছে, তার শূন্য-ই দাবিদার।
নিজের মধ্যে নিজেকে খুঁজেছি যত,
এই শূন্যেই এসে থেমেছি বারবার-
বিন্দু থেকে সৃষ্টির আবাহন,
এই বিন্দুতেই এসে দাঁড়াবো শেষ বার।
ফুল যত ফুটেছে খেয়াল মতো,
কথা ছড়িয়েছে নিতান্তই অবহেলে-
বেপরোয়া সিগন্যালও হয়তো একদিন
শূন্যতার ভাষা শিখবে সুযোগ পেলে।
শুয়ে থাকা শূন্যেই যুগ থেকে যুগ,
নিয়মের ঋতু পাল্টায় বারোমাস-
এই শূন্যের কাছেই নত হয় আসে
বেঁচে থাকার যত প্রগাঢ় দীর্ঘশ্বাস।
উপেক্ষা
একাকিত্বের একমুঠো রাতগুলো
পুড়তে আসে আগুন পোহানোর নামে,
আড়ালে জমা ভস্মের স্তূপাকার
ঠিকানা লেখে শেষ চিঠিদের খামে।
তোমার গলিতে হঠাৎ পথ অবরোধ,
সন্ধ্যের কফি হাত থেকে হাত ঘোরে-
কতটা অনিশ্চিত বিষাদের সমাধান,
তুমি প্রেমিক আর বুঝবে কেমন করে ?
বহুদিন ধরে তুলিতে আঁকা ছবি,
ক্যানভাসে রং চাপিয়ে দেওয়া তো নয়-
বেঁধে বেঁধে চলা হাজার প্রতিশ্রুতির
একলা রাতে হোঁচট খাওয়ার ভয়।
একাকিত্বের মুঠো ভরা রাতগুলো
পুড়তে আসে আগুন পোহানোর নামে,
প্রেমিক তখন অতীত ভুলিয়ে দিয়ে
প্রেম বেচছে ভীষণ সস্তা দামে।
যেটুকু প্রাপ্তি দু-হাত ভরে ভরে
গুছিয়ে রাখা নির্বাক দুই চোখে,
কথা আজ কিছু উপেক্ষার মুখোমুখি-
কি এসে যায় যদি নষ্টা বলে লোকে ?
অলঙ্করণ: নূরুল আসাদ