চতুর্থ পর্ব: বেলা দেড়টার সময় শবনম একটা ব্যাগে নিজের কিছু কাপড়, দুই ব্যাগ ভর্তি ছেলের খেলনা আর কাপড়-চোপড় নিয়ে বাবার বাসা আজিমপুর থেকে খিলগাঁওয়ের দিকে রওনা দেয়।বেলা এগারটার সময়ও সবকিছু মোটামুটি ঠিকঠাক ছিলো। সবাই সবার প্রতিদিনকার কাজে ব্যস্ত ।কেউ ভাবেনি শবমন তার গতকাল রাতের ঘোষণা সকালেই বাস্তবায়ন করবে।সেটা মনে হয় নিজেও ভাবতে পারেনি।
সাড়ে এগারটার শারমীনের বড় খালা সুফিয়া খাতুন ছোট বোন আলেয়া খাতুনকে ফোন করেন গতকালকের এনগেজমেন্টর পুরো ঘটনা জানতে। ছয় মাস বয়সী নাতনীর অসুস্থতার কারণে তার জীবনটা যে আজ কতটা সংকটময়, একঘরে হয়ে গেছে, আর সে কারণে না আসতে পারায় মনটা যে কতটা খারাপ সেটা বোঝাতে বেশ আবেগ ব্যবহার করেন শারমীনের বড়খালা।
ওদিকে বড়বোনের কাছে মন খুলে কথা বলতে গিয়ে বেফাঁসভাবে, শবমনের যে আজ খুশি হয়ে শশুরবাড়ি ফিরে যাবার কথা বলেছে, সেটাও আবেগ তাড়িত হয়ে মুখ ফসকে বলে ফেলেন আলেয়া খাতুন।আর সেই সময়টায় শবনম মায়ের কাছ থেকে মাত্র দুই গজ দূরে দাঁড়িয়ে হাসি হাসি মুখে মা আর খালার গল্প শুনছিলো।আর কথায় আছে না, বন্দুকের গুলি আর মুখে থেকে বেরনো কথা কখন ফেরত নেওয়া যায় না। আলেয়া খাতুন মনে মনে বড় মেয়েকে একটু ভয় পায় পাগলামির আর শিশুসুলভ আচরণের কারণে, যা তার ছোট মেয়ের মাঝে একদম নেই। কিছু সময়ের জন্য তিনি অপর প্রান্তের সাথে কথা বন্ধ করে মেয়ের দিকে ভয়ার্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন।তারপরে দ্রুত রাখি বলে ফোন কেটে মেয়ের দিকে ছুটে যান।মায়ের আসার আগেই শবনম ব্যাগ নামিয়ে ফেলে।
-ব্যাগ নামাইছিস কেন?
-আমেরিকা যাবো।তুমি আমার সামনে থেকে যাও।আমার সাথে তুমি আর কথা বলবা না।
-আমি কথায় কথায় বলছি, তুই রাগ করিস কেন?
-আমি জানি আমার এই বাসায় থাকা তোমার আর তোমার ছোট মেয়ের পছন্দ না।তারপরও আমি থাকি।কেন থাকি সেটা তো জানো, না কি সেটাও ভুলে গেছো?
-জানি,আমার ভুল হইছে। শারমীনের বিয়ে তুই এখন কই যাবি?
-মা আমার সামনে থেকে যাও, এখনই যাও।
মায়ের সাথে ঝগড়া করে ভরদুপুরে খালি পেটে ছেলেকে নিয়ে সিএজিতে করে খিলগাঁয়ের দিকে রওনা দেয় শবনম।রাস্তা কিছুটা ফাঁকা থাকায় বেশ তাড়াতাড়ি পৌঁছে যায়। দুই বছর আগে এককাপড়ে শশুরবাড়ি থেকে ছেলে নিয়ে বাপের চলে গিয়েছিলো খুব ভোরে।আজ আবার ফিরে এসেছে এক মধ্যদুপুরে। কলিংবেলটায় হাত রাখতে বেশ সংকোচ হচ্ছিলো শবমনের। হাতটা আবার নামিয়ে নেয়।কেমন যেন অপরিচিত লাগছিলো নিজেকে এখানটায়। যে সংসারটা এক সময় ওরই ছিলো আজ সেখানে নিজেকে উটকো মনে হচ্ছে ওর।এটা হয়তো ওর কিছুটা ভুল ছিলো।নিজের স্থান কাউকে সহজে ছেড়ে দেওয়া ঠিকনা।এটা সবচেয়ে বড় বোকামি, আর সেটাই শবনম এতদিন করে এসেছে।অনেক হয়েছে আর না।নিজেই নিজেকে বলে শবনম, নিজের আমিত্বের সাথে পণ করে কলিংবেলে আঙুল রাখে।
বেলা তিনটায় সাজ্জাদের মায়ের সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসে।মধ্যরাতে সানজিদা আহামেদ এর একটি ছোট মাইল্ড অ্যাটাক করে ঘুমের ভেতরে।ভালো হাসপাতাল, উপযুক্ত কেয়ার পেয়ে এ যাত্রা পার পেয়ে যান তিনি।তার উপর ছেলের সার্বক্ষণিক সঙ্গ তাকে আরও সুস্থ করে দেয়।চোখ খুলে ছেলের সাথে চোখাচোখি হতেই সাজ্জাদের উৎকণ্ঠা চোখ এড়ায়না তার।মনটা তার তখনই ভালো হয়ে যায়।স্বামীর অবহেলা তাকে এতদিন যতটা কুঁকড়ো ফেলেছিলো, ছেলের আদর আজ ততটাই সচল করছে তার মনকে।কিছু সময় তাকিয়ে থাকে ছেলের দিকে।তার ছেলেটা দেখতে এত সুন্দর কেন? নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে।বাড়ি ফিরে এবারই ছেলেকে বিয়ে করবে,পাত্রী দেখা শুরু করতে হবে, যদি ছেলের পছন্দের কেউ থাকে, তাহলে সেই মেয়ের সাথেই তিনি বিয়ে দেবেন, মনে মনে এমন হাজারো কথা বলতে থাকেন সানজিদা আহামেদ।
-মা, তুমি গতকাল ওষুধ খাওনি?
-খেয়েছিলাম তো, মনে নেই গতকালকের কথা।
-তোমার এত এত অনিয়মের কারণেই শরীর এত খারাপ তোমার।
-আর করবো না, তুই আমাকে আগে বাড়ি নিয়ে চল, এখন থেকে আমি একদম নিয়ম মেনে চলবো।ওষুধ খাবো, ব্যায়াম করবো, রান্না করবো, সব করবো।
এই কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলে সানজিদা আহমেদ। কত সুন্দর সাজানো সংসার ছিলো তার।স্বামী সরকারি কর্মকতা, সরকারি বাড়ি, সরকারি প্রোটোকল সবকিছুই সুন্দর। চাওয়া মাত্রই টাকা চলে আসে হাতে, শপিং করা ছিলো তার একমাত্র শখ। কত জিনিস প্রয়োজনহীনভাবে কিনেছে তার হিসাবও নেই। প্রয়োজনহীন জিনিস কিনতে কিনতে নিজেই কখন যেন অপ্রয়োজনীয় হয়ে যায় নিজের সংসাররে বুঝতেও পারে না।যখন বুঝতে পারে ততদিনে সাজ্জাদের বাবা তার ভালোবাসার শিকল ছিঁড়ে ভিনদেশি মেয়ের লকেটের ছবি হয়ে হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।একবার অফিসের কাজে থাইল্যান্ড যেতে হয় আফজাল আহামেদের।ট্যুরটা এক সপ্তাহের ছিলো।ফেরার সময় বউ আর ছেলের জন্য নানারকম উপহার নিয়ে আর পাঁচটা বাঙালি ভদ্রলোকের মতো ফিরে আসে।কিছুদিন পরে আবার যায় থাইল্যান্ড, সবাইকে জানানো হয় সরকারি সফর কিন্তু সেটা ছিলো অজানা ব্যক্তিগত মনোরঞ্জন।এইভাবে আসা যাওয়া বাড়তে থাকে তার সেই পাপের দেশে।
একদিন কাউকে কিছু না বলে সরকারি চাকরি ছেড়ে ব্যবসা শুরু করেন।তাও সেই থাইল্যান্ডের সাথে যৌথভাবে।আগে যেখানে লুকিয়ে মিথ্যাে বলে যেতেন,পরে তা ব্যবসার কাজে সত্য কথা বলে আসা যাওয়া শুরু করেন আফজাল আহমেদ।এইভাবে আসা যাওয়া করতে করতে একটা সময় সেখানেই নিজের জন্য একটি নীড় গড়েন। তবে সেই নীড়ে তার ছায়াসঙ্গী হয় ‘জেসিকা চেন’ এখন অবশ্য সেই নাম বদলে জেসমিন আহামেদ হয়েছেন সেই থাই তরুণী।
-মা, আমার একটু বের হতে হবে। তুমি দুই ঘণ্টা একা থাকতে পারবে।লতিফ চাচা আছে, আর মেজো খালা আসছে।কয়দিন আমাদের বাসায় থাকবে।
-তুই যা, আমি এখন ভালো আছি। বাসায় যাবো কখন? বলি না তো।
-আর একদিন ডাক্তার তোমাকে রাখতে বলেছে। আর বাসায় গিয়ে কি করবে, সময় মতো ওষুধ খাওনা।
-এখন থেকে সব করবো, তুই শুধু দেশে থাক আমার কাছে, তাহলেই হবে। আর একটা বিয়ে কর।
মায়ের কথায় সাজ্জাদ কিছু বলে না। একটু স্মিত হাসি ফুটে ওঠে ঠোঁটের কোনে।একটু পরে শারমীনের অফিস যাবে, দেখা হবে, সেই ভাবনাই সাজ্জাদের মনকে আচ্ছন্ন করে রাখে। ওর ভাবনার মাঝে এসে ছেদ কাটে ওর মেজো খালা, সাথে তার ওভার স্মার্ট মেয়ে রুদাবা। মেজো খালা প্রচণ্ড আমুদে টাইপ মহিলা। যেখানে থাকে সারাক্ষণ আনন্দে মাতিয়ে রাখে সবাইকে। যতটা ওর মেজো খালাকে পছন্দ করে ততটাই রুদাবাকে অপছন্দ করে। কেন যেন মেয়েটাকে দেখলেই ওর মেজাজ খারাপ লাগে, ন্যাকা টাইপ তাই হয়তো, সাজ্জাদ নিজে নিজে কারণ খুঁজে বের করে।
-কি রে সাজ্জাদ আজ কিছু খাসনি?
-এই তো খেলাম।
-তাহলে মনে হয় খাবারগুলো এখনও তার পুষ্টি ঠিক স্থানে পৌঁছে দিতে পারেনি। মুখটা শুকনো লাগছে।
-মা, তোমার ফানিটাইপ কথা বন্ধ করো তো।সাজ্জাদ ভাই বিরক্ত হচ্ছে,
-আমি তোর কথায় বিরক্ত হচ্ছি। খালা তুমি কথা বলো। তোমার সাথে গল্প করতে আমার বেশ ভালো লাগে।
মা, খালার সাথে আরো কিছু সময় কাটিয়ে সাজ্জাদ বের হয় শারমীনের সাথে দেখা করার জন্য।নিজের কাপড়ের দিকে তাকিয়ে কিছুটা বিরক্ত হয় নিজের উদাসীনতার জন্য, সকালে একটু ভালো কাপড় পড়ে বের হলেই হতো।কিন্তু তখনকার পরিস্থিতিতে ওটা ওর মনে ছিলো না। তারপরও ঠিক করে এইভাবেই শারমীনের সামনে গিয়ে দাঁড়াবে।
অফিসে ঢুকেই শারমীন কিছু সময় মেইল চেক করেই বের হয় উত্তরার প্রজেক্ট দেখার জন্য।সেখান থেকে ফিরে আসে ঠিক দুপুর দুইটা পয়তাল্লিশ মিনিটে।খেতে বসবে তখনই ফোন করে হবু শশুর বোরহান উদ্দিন তমালের ফোন থেকে।অনেকটা অনিচ্ছায় ফোনটা ধরে শারমীন।
-মা, কেমন আছো?
-জ্বি ভালো।
-অফিস ছুটি কখন, বিকেলে তুমি কখন বের হবে?
-সন্ধ্যা সাতটা হবে হয়তো বের হতে হতে, কেন চাচা?
-আমাকে বাবা ডাকলে বেশি খুশি হবো মা, চাচা তো পুরনো সম্পর্ক।গতকাল থেকে আমাদের একটা নতুন সম্পর্ক তৈরি হলো তো মা।
-জি, (শারমীন চুপ করে থাকে,কিছু বলতে ইচ্ছে হয় না ওর)
-আমি আর তোমার শাশুড়ি আসবো, গুলশানে তমালকে নিয়ে, চলো আজ চারজন একসাথে একটু ঘুরি, কেনাকাটা করি।
-জি, আমি তো বাসায় কিছু বলিনি, আগে বাসা থেকে বলুক, তারপরে না হয় যাবো, চাচা।(এইবারে চাচা ডাকটা শারমীন একটু জোরালোভাবে বলে)
-বেয়াই, বেয়াইনের সাথে কথা হয়েছে মা, তারা সম্মতি দিয়েছে। এখন তুমি যেতে রাজি হলেই হয়।
শারমীন কিছু সময় কোন কথা বলে না। নিজের মা, বাবার উপর খুব রাগ হয় ওর।ওকে না জানিয়ে তারা নিজেরা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ওদিকে অপর প্রান্ত ওর উত্তরের অপেক্ষায়। কি করবে বুঝতে পারে না। তাই হালকা স্বরে বলে,
-জি, আচ্ছা, যাবো।
তবে শারমীন বুঝতে পারে এই বোরহান উদ্দিনের পরিবারের কাছ থেকে ওর মুক্তি নেই।ছেলের যতটা না আগ্রহ,তার থেকে বুড়ো বাবাটার বেশি আগ্রহ।বুড়ো লোকটার গলায় একটা মায়া আছে ওর জন্য, যা শারমীনের ভালো লাগে।খাওয়া শুরুর আগে হাত ধুতে গিয়ে আবারও চোখে পড়ে আংটিটার দিকে।হঠাৎ করে আঙুলে করতে জায়গা করে নিতে আংটিটার একটু অস্বস্তি হচ্ছে, যা শারমীন ভালোই টের পাচ্ছে, কিন্তু দেখতে বেশ ভালো লাগছে হাতটাকে আংটিসহ। হুট করে আংটিসহ হাতের একটি ছবি তুলে পোস্ট করে ফেসবুকে।যা ইন্টোর্ভাট শারমীনের স্বভাবের সাথে একদমই মানায় না।তবে ছবিটা পোস্ট করার পরেপরই বুকের ভেতরে দ্বিধাদ্বন্দ্বে সুক্ষ কাটাটা একটু একটু করে খোঁচাতে থাকে।
শবনমকে ওর শাশুড়ি দেখে কিছুক্ষণ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, নিজের চোখকে নিজে প্রশ্ন করে, যা দেখছি ঠিক দেখছি তো।প্রায় দুই বছর পরে তার একমাত্র ছেলের বউ বাড়ি ফিরে এসেছে। কি করবে ভেবে না পেয়ে, নাতিকে কোলে নিয়ে সোজা নিজের রুমে গিয়ে ঢোকে। শবনমকে কিছু বলে না,
‘হয়তো অধিক খুশিতে পাগল হয়ে গেছে’ এটা ভাবতে ভাবতে ঘরে ঢোকে শবনম।
শবনম শশুর বাড়িতে পৌঁছে প্রথমে ফোন করে শারমীনকে।বোনের উপর ওর মারাত্মক রাগ।কিছুটা হিংসাও করে ছোট বোনটাকে।শবনম একটু অস্থির প্রকৃতির মেয়ে, কোনকিছু সহজে মেনে নিতে পারে না। তবে যাকে ভালোবাসে প্রচণ্ড ভালোবাসে, আবার ঘৃণাও প্রচণ্ড। অন্যদিকে শারমীন শান্ত, ধীরস্থির, চুপচাপ, একটু অহংকারী তবে সেটা অন্যরা মনে করে। সহজে রেগে যায় না। আর রেগে গেলেও তা কাউকে বুঝতে দেয় না। মাঝে মাঝে শবনমের বোনের এই গুনগুলো রপ্ত করতে মন চায়, কিন্তু পারে না।
-আমি চলে এসেছি, আজ বাসায় ফিরে শান্তি করতে পারবি,আমার ছেলে আর তোকে বিরক্ত করবে না।
-কি যে বলিস না, আমি কবে বললাম রুদ্র আমাকে বিরক্ত করে?
-বলিসনি, ভাবভঙ্গিতে তো বুঝিয়ে দিস।
-তুই ফোন রাখ, মেজাজ এমনিতেই খারাপ। আর খারাপ করিস না।এখন খেতে বসবো।
-কেন কি হয়েছে, অফিসে কোনো সমস্যা?
-তুই জেনে কি করবি, তোর কাছে এর সমাধান নেই।
-শোন, আমি পুরোটাই নোটবই, সবকিছুর সমাধান পাবি।
-আমাকে বোরহান চাচা ফোন করেছিলো, আজ আমাকে নিয়ে তারা ঘুরতে বের হবে।আর মা বাবা তাদের সম্মতি দিয়েছে আমাকে নিয়ে বের হবার জন্য।
-কেন, এটাতো একদম ঠিক করেনি মা। দাঁড়া তুই চিন্তা করিস না, আমি কালই চলে আসবো।এসেই সবঠিক করবো।আর তোর বিয়ে দিয়ে তারপরে যাবো।
-আপা আমি এই বিয়েটাই করতে চাই না।তুই পারলে সেটা বন্ধ কর।
-তাহলে রাজি হইলি কেন?
-তোর উপর রাগ করে।
-একা একা কুড়াল বানিয়ে, নিজের পায়ে আঘাত করে, এখন আমার কাছে ব্যান্ডিজ খুঁজিস।আসাধারণ।
-কি করবো সেটা বল।
-আজ এলে তাদের সাথে বের হয়ে, ঘুরে আয়। তারপরে বলবো কি কি করবি বিয়ে ভাঙার জন্য।এখন রাখি,তোরটা ভাঙার আগে নিজেরটাকে একটু গুছিয়ে নেই।
-ঝামেলা করিস না আবার।একটু মানিয়ে নিস সবকিছু।
-চিন্তা করিস না, এবার সবকিছু ঠিকভাবেই সামলে নেবো।
প্রায় এক বছর পরে বোনের সাথে এতটা স্বাভাবিকভাবে কথা বলে শারমীন।আগে শবনমে সাথে কথা বলার আগেই বিরক্তি প্রকাশ করতো, তাই শারমীনও ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেয় বোনের কাছ থেকে। সময় আর পরিস্থিতি সবকিছুকেই বদলে ফেলে।আপনকে দূরে নিয়ে যায় আবার দূরকে কাছে নিয়ে আসে।