কলকাতা ভ্রমণ এবং আমার চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার অভিভাবক সন্তান প্রতিম ভাতিজা আমিরুল ইসলাম পল। ভোর ছটায় নিয়মিত সে জাগে।জীবনসঙ্গিনী মুন্নীকে নিয়ে একক্রোশ হেঁটে এসেছে।ঈদের নামাজ পড়ে এসেছে।
এরপর আমার আর তার কন্যা রাইসার জন্যে নাস্তা কিনে এনেছে পরোটা-সবজি-ডিম ভাজি।আমরা দুজনেই তখন গভীর ঘুমে। দরোজায় পলের নক শুনে উঠেই আমি আগে স্নানপর্ব শেষ করে রেডি হয়ে ওদের রুমে গিয়ে ঈদ মুবারক জানালাম।
এরপর ট্যাক্সি ভাড়া করে প্রথমেই এ্যাপোলো হাসপাতালের ডেসপাস শাখা থেকে রিপোর্ট তুললাম বটে কিন্তু ঈদের ছুটির জন্যে পুরো গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগ বন্ধ।আমার মতো অনেকেই ফিরে গেলো।
আমরা পূর্বের পরিকল্পনা মতো ৫ নং ক্রিস্টফার রোডের পীর বাড়িতে গেলাম।সেখানে বাস করে আমার দুই খালাতো বোন মুন্নী ও আবেদা আপা।দুই বোন পাশে বসে আদর যত্ন করে ঈদের সেমাই, পরোটা, খাসির রেজালা এবং বিরানীশেষে নানা রকম মিস্টি খেয়ে ঈদের পরিতৃপ্তি নিয়ে ফিরে এলাম নিজস্ব ডেরায়।
ছোটভাই শীতল এবং সোহাগ বোন রানুর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় বলো। প্রবাসে সন্তানদের ঈদ ছিলো গতকাল।তাদের ঈদের মাঠের আনন্দময় কিছু ছবি আমার সঙ্গে মিলেমিশে থাক। সকলে ঈদের আনন্দে ঝলমল করুক-এই কামনা আজকের দিনের জন্যে।
২২/৪/২৩
এ্যাস্ট্রোরিয়া হেটেল, নিউ মার্কেট
কলকাতা