একটি হেমন্তের সকাল ও আমি ॥ নাসরিন জে রানি


ছবি: ইয়াসমিন সুমি। গ্রাফিক: লংরিড

সম্পূর্ণ একা হতে পেরেছি। ভালো আছি। নিজের নতুন-পুরনো লেখার কাজগুলো নিয়ে খুবই ভালো আছি। শান্তিতে আছি আমি। যেমন পড়তে পারছি, বুঝতেও পারছি। অনেক গ্রহণ করতে পারছি।

ভাবতে পারছি যেমন, লিখতেও মজা লাগছে তেমনই।

এই যুগে একা হতে পারা একটা অসম্ভব যুদ্ধসম, সেই যুদ্ধটাই করে আমি এখন একটা সুন্দর শান্ত জায়গায় এসে পৌঁছাতে পেরেছি। এখন আর কিছু নিয়ে স্ট্রেস হয় না। উপরে বা বা মাঝের বা অপরিচিত অথবা অল্প পরিচিত এমন কি পরিচিত লোকের কোনো কথাবার্তা, ভাবনা, প্রকাশ আমাকে আর প্রভাবিত করে না- এই স্টেজে পৌঁছাতে আমার যুগ লেগে গেছে। কিন্তু আমি সংকল্পে অটল ছিলাম। পথের শেষ রেখার দিকে তাকিয়ে হেঁটেই যাচ্ছিলাম, এখন শেষ বিন্দুতে এসে সুন্দর একটা বাড়ি পেয়েছি। তার বারান্দায় উঠে এসেছি, ভালো লাগছে।

এক সকালে উঠে মনে হলো-আমি মরে গেছি, আর মৃত লোকদের কাছে জীবিত থাকাকালীন যেসকল ইস্যুগুলো নিয়ে মাথা ভারি করে, সেসব তুচ্ছ।

এই মৃত্যু ভালো, একটা দিকেই যায় মৃতেরা, নিজেদের শরীরে ফেরে, মাথায়, মনেও, নিজেদের কাছেই ফিরে আসে মৃতেরা, শান্তিও পায়। আমি তো পাচ্ছিই।

নতুন জীবনও পেলাম একটা।
ভালো লাগছে এই জীবন।