বাংলা একাডেমি ও গ্রন্থকেন্দ্র পেলো নতুন পরিচালক


বাংলা একাডেমির নতুন মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম।বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মুহাম্মদ ইব্রাহীম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বাংলা একাডেমি আইন, ২০১৩-এর ধারা ২৬ (২) এবং ধারা ২৬ (৩) অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আজমকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী ৩ বছর মেয়াদে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

বিষয়টি জানতে চাইলে অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার একটি চিঠি পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু প্রক্রিয়া আছে, সেগুলো সম্পন্ন করে আশা করছি, রোববার যোগ দেব।’

মোহাম্মদ আজমের জন্ম ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট নোয়াখালীর হাতিয়ায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। এরপর বাংলা ভাষার উপনিবেশায়ন ও বি-উপনিবেশায়ন নিয়ে গবেষণা করে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।তার উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো- ‘বাংলা ও প্রমিত বাংলা সমাচার’, ‘নির্বাচিত কবিতা: সৈয়দ আলী আহসান’ (সম্পাদিত), ‘কবি ও কবিতার সন্ধানে’।

এদিকে, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কথাসাহিত্যিক আফসানা বেগম। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আইন অনুযায়ী আফসানা বেগমকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্মসম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার মেয়াদ হবে দুই বছর। নিয়োগের অন্যান্য শর্ত চুক্তিপত্র দিয়ে নির্ধারিত হবে।

আফসানা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি প্রজ্ঞাপনের চিঠিটা পেয়েছি। কবে যোগ দেব, তা এখনো ঠিক করিনি। মন্ত্রণালয়ে কথা বলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করব।’

আফসানা বেগমের জন্ম ১৯৭২ সালের ২৯ অক্টোবর।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি। পরে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেন যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে। শিশু-কিশোরসাহিত্যসহ আফসানা বেগমের বইয়ের সংখ্যা ২৪। উল্লেখযোগ্য বই ‘প্রতিচ্ছায়া’, ‘বেদনার আমরা সন্তান, ‘আমি অথবা আমার ছায়া’, ‘দিনগত কপটতা’।অনুবাদ করেছেন নাদিন গড়িমার, উইলিয়াম ফকনার, হুলিও কোর্তাসার, অ্যালিস মানরো, আইজাক আসিমভ, ফিদেল কাস্ত্রো। ২০১৪ সালে পেয়েছেন জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার।