নোবেল জেতার পর ৭ দিনে হান কাংয়ের ১০ লাখ বই বিক্রি


সংবাদ সম্মেলনে হান কাং। ফাইল ছবি: রয়টার্স

প্রথম দক্ষিণ কোরীয় লেখক হিসেবে সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার জেতার পর নিজ দেশে হান কাংয়ের ১০ লাখেরও বেশি বই বিক্রি হয়েছে।কয়েকটি স্থানীয় বইয়ের দোকানের বরাত দিয়ে বুধবার (অক্টোবর ১৬, ২০২৪) এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

নোবেল জেতার আগেই ছোট গল্প ও উপন্যাস লিখে সুনাম অর্জন করেছিলেন হান।প্রায় এক দশক আগে প্রকাশিত হলেও হান কাংয়ের উপন্যাস দ্য ভেজিটেরিয়ান ২০১৫ সালে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন ডেবোরাহ স্মিথ। পরের বছরই উপন্যাসটি ম্যান বুকার পুরস্কার পেলে লেখক হিসেবে হান কাংয়ের জীবন পাল্টে যায়। তাঁর অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে দ্য হোয়াইট বুক, হিউম্যান অ্যাক্টস ও গ্রিক লেসনস।

৫৩ বছর বয়সী হান কাং প্রথম এশীয় নারী লেখক হিসেবে নোবেল জেতেন। গত সপ্তাহে নোবেল পুরস্কার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মানবজীবনের দুঃখ-কষ্ট কাব্যিকভাবে রূপায়ন করার স্বীকৃতি হিসেবে হান কাংকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

হান নোবেল জেতার পর দক্ষিণ কোরিয়াজুড়ে সাড়া পড়ে যায়।গত বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণার অল্প সময়ের মধ্যে দেশটির স্থানীয় বই বিক্রেতাদের ওয়েবসাইটগুলো অত্যধিক ইন্টারনেট ট্রাফিকের কারণে ক্র্যাশ করে।তার বইগুলো অর্ডার করার জন্য একসঙ্গে হাজারো মানুষ ওয়েবসাইটগুলোতে ছুটে যান।

গত বৃহস্পতিবার নোবেল বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণার পর থেকে ১৬ অক্টোবর ২০২৪ সকাল পর্যন্ত ইবুকসহ হানের বইগুলো ১০ লাখ ছয় হাজার কপি বিক্রি হয়েছে। এএফপিকে এই তথ্য জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে বড় তিন বই বিক্রেতা কিয়োবো, আলাদিন ও ইয়েস২৪।

কিয়োবোর মুখপাত্র কিম হিউন-জাং বলেন, হান কাংয়ের বইগুলো নজিরবিহীন গতিতে বিক্রি হচ্ছে।এর আগে এমন পরিস্থিতি কখনো দেখিনি আমরা।

অনলাইন বইয়ের দোকান আলাদিন জানিয়েছে, হানের বইয়ের বিক্রি গত বছরের তুলনায় ১,২০০ শতাংশ বেড়েছে।পাশাপাশি, অন্যান্য দক্ষিণ কোরীয় লেখকদের বইয়ের বিক্রিও বেড়েছে।সার্বিকভাবে, হান হাং নোবেল জেতার পর গত বছরের এই সময়ের তুলনায় কোরীয় সাহিত্যের বইগুলোর বিক্রি ১২ গুণ বেড়েছে, এক বিবৃতিতে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, চাহিদা মেটাতে দিনরাত কাজ করছে ছাপাখানাগুলো।কয়েকটি ছাপাখানায় ছুটির দিনগুলোতেও বই ছাপানোর কাজ চলছে।

আলাদিনের এক কর্মী এএফপিকে বলেন, আমি ২০০৬ সালে এই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর কখনোই এখনের মতো এত ব্যস্ত সময় কাটাইনি।কিন্তু কাজের চাপ থাকলেও আমরা সবাই খুশি।