অতঃপর রাগমোচনের আকাশ বারান্দা
১.
আকাশে রেলগাড়ি চলে-হাওয়ার সপ্তপাল ছাপিয়ে
দুপাশে সূর্যের ডানা
যেখানে বৃষ্টি ঝরে লাইনচ্যূত বগি মহাকাশে ঘুড়ে বেড়ায়
আমরা মাটি থেকে আকাশ পানে একটা গাছ উঠতে দেখি-
সমুদ্র মাড়িয়ে ট্রেন আমাদের ইস্তেহার শোনায় আলো-অন্ধকারের
২.
মেঘের রাজ্যে আকাশের সমুদ্রযাপন
আর সমুদ্রের ভাঙা ডেউগুলো চাঁদ থেকে খসে পরা অর্ধনগ্ন নারী
৩.
সূর্যের আলোতে স্নান করে পাখিরাজ
ও দিকে খাঁচায় বসে প্রেমিক পাখিটি বাঁশি বাঁজাচ্ছে গাছে
৪.
আকাশের চোখ থেকে জল পড়ে পৃথিবীর সরোবরে
খোলা প্রান্তরে বসে পূর্ণিমায় মুখ দেখেন অর্ধনগ্নিকা
মেঘের প্যারাসুটে নামে হাওয়ানৃত্যপর বালিকা
৫.
সমুদ্রের দরজা খুলে একটি লোক বেরিয়ে এসেছিলো মাটিতে
সারা অরণ্যের পিপিলিকা মাঝখানে দিনের দৈনন্দিকতা বেঁধে দেয়
ভাষা ও চুমু
যে প্রিয় নামে লেখা হলো চিঠি-
অনুভবের প্রতিবিম্বে কিছুপতন জড়ানো শব্দের চুমু রচিত হলো
এর অধিকতর ভাষা মনের ডাকনাম
পাখি রাত্রিদিন উত্তাপের ঝর্ণায় স্নানবৃক্ষ হলো স্বপ্ন
চিঠি
চুমু
অতঃপর-
ছায়া
ছবির ভাষাভূক প্রজাপতি ঘুমে অন্য নামে লিখা কবিতা- সারথিমেঘ !
জলবুক,দা-কাহন
বিরহের সন্দেহ বুকে বাগীশ্বরীপ্রেমে মঞ্জুষা উষ্ণতার ভূগোল পোড়ে
আত্মাগৃহে প্রাণপস্ক প্রতিসত্যে শরীরের দেহভাঁজ ছিঁড়ে পড়ে জ্বল
অপেক্ষার নদীতে প্রবলশোক-
নদীর আরশীতে ভুমিকম্প, বালিকাস্রোত
ক্রমাগত চৈত্রদাহ্যে তৃষ্ণা নিবারণ, প্রেমহীনবোধ-একা ,একা
জলের সংসার
মহূয়া সহবাসে-মাতাল দূরের গান
জলের বুকে এক দা-কাহন, এলাস্থাস ভোর!
ব্যক্তিগত
চাঁদসূর্যের গ্রহণকালে পৃথিবীর ছায়া কারুজ হয় পাহাড় বেড়াতে
নদী-সমুদ্র-বনবৃক্ষ তখন মানব মানব জোয়ার ভাটায়
আকাশমাটির শরীরে আয়ুর আবেগ বিশ্বাসের জন্ম তুলে রাখে
জল-তুলোর মেঘ ওড়ে সর্ম্পকের ঋতুর সাইকেলে-
ও গো সন্দেহের দেহ- তোমার আশ্রমে আমরা সুখের মলাট খুলে
আজানার মিথ্যেগুলো সত্যের স্নানে ভরিয়ে তুলবো
তুমি শুধু সূর্যরক্ত মেখে চাঁদের কাছে যেও আর অদৃশ্যের জলধিস্মৃতির
নামে মুক্তবিভায় আনন্দের প্রজাপতি ধ্যানে নতুন অধ্যায়সমান পাহাড়
ব্যক্তিগত পরিসর মেপে নিও কান্নাজলের শব্দসবজি