ঘুমের ভেতর জেগে দেখি মরে গেছি
ঘুমের ভেতর জেগে দেখি মরে গেছি-নগরের পথ ভেঙে
কাফনে জড়ানো আমি। নিয়ে যাচ্ছে দ্রুত দাফনের জন্য;
কাউকে চিনি না। এ পথে হাঁটিনি কোনোদিন অচিন সড়ক,
বাবলার ফুল বিছানো আমার দুর্বাঘাস বুনোফুল পথ খুঁজি ।
আমাকে অচেনা পথে কারা যেনো নিয়ে যাচ্ছে ত্রস্তপায়ে
রাস্তার দুপাশে মায়াভরা কোনো প্রিয়মুখ নেই;
পথের ধূলোয় কোনো ঘ্রাণ নেই- যে ঘ্রাণ আজন্ম
নিঃশ্বাসে আমার। বটবৃক্ষটিও নেই-ছায়াও নেই।
পরীর বাড়িতে জবা ফুল কাঁদছে আমাকে ক্ষণিক মুহূর্ত
সেখানে নামাও-রাখো। কোলেপিঠে করে যারা মমতায়
আমাকে করেছে বড়-পেতে চাই তাদের মায়াবী শেষ স্পর্শ;
আমার এটুকু ছাড়া আর কিছু নেই কবিতার সরল কৃষক।
আমার গড়াই নদী জানে আমি তার বুকে ফিরতে চেয়েছি
আমার সবুজ মাঠ জানে তার বুকে বুক পাততে চেয়েছি
আমার গ্রামের ঘরবাড়ি ধূলিকণা প্রতিটি নিঃশ্বাস জানে
এখানে আমার আমি চিরকাল খুঁজি মায়ের আঁচল।
ঘুমের ভেতর জেগে দেখি মরে গেছি- দ্রুত কারা যেনো
কাফনে জড়ানো নিথর শরীর নিয়ে যাচ্ছে-দূরের জঙ্গলে;
জানবে না কোনোদিন কেউ দূরের আঁধারে পড়ে আছে
ভাতের আগুনে পোড়া অভাবী যৌবন জীবনের পাণ্ডুলিপি।