দোনাগাজী পদক কে পাচ্ছেন


অলঙ্করণ: লংরিড

‘আলাওল সাহিত্য’ পুরস্কারকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের পর সর্বোচ্চ মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচনা করা হতো। তবে কয়েক বছর ধরে ‘বগুড়া লেখক চক্র’ পুরস্কার সেই স্থান দখল করে নিয়েছে।

সাহিত্য বিশ্লেষকরা বলছেন, ঢাকা থেকে অনেক করপোরেট পুরস্কার দেওয়া হয়। এসব পুরস্কারের অর্থমূল্য অনেক। কিন্তু অর্থমূল্য বাদ দিলে ওসব পুরস্কারের সাহিত্যমূল্য নেই বলা যায়।

বগুড়া লেখক চক্র পুরস্কারের পরপরই যে সংগঠনের পুরস্কারকে লেখক সমাজ আন্তরিক ভালোবাসায় গ্রহণ করেছে, সেটি চাঁদপুরের চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি। আর এই সংগঠন থেকে দেওয়া দুটি পুরস্কারও বেশি সাড়া ফেলেছে। এর একটি চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি পুরস্কার, অন্যটি ‘চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি দোনাগাজী পদক’।

চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যতিক্রম কিছু কাজের মাধ্যমে বারবার শিরোনামে এসেছে এ প্রতিষ্ঠান। মধ্যযুগের অমর পুঁথিসাহিত্যিক কবি দোনাগাজীর সম্মানে ২০১৯ সালে এ সংগঠন প্রবর্তন করে ‘চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি দোনাগাজী পদক’।

আয়োজকরা জানিয়েছেন, এ বছর (২০২১) পদক ঘোষণার সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এক মাসের মধ্যে ঘোষণা করা হবে ‘চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি দোনাগাজী পদক’। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসের কারণে পদক ঘোষণা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এবার একসঙ্গে দুই বছরের পদক ঘোষণা করা হবে।

শিল্পসাহিত্যের ওয়েবম্যাগ চিন্তাসূত্রে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইতোমধ্যে বেশকিছু নাম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। কবিতায় ‘চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি দোনাগাজী পদক-২০২১’ পেতে পারেন হেনরী স্বপন, জাকির জাফরান ও মোহাম্মদ নূরুল হক। এদের মধ্যে যেকোনো একজন পেতে পারেন ।তবে, এই তিন জনের সঙ্গে আরও সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে অন্তত তিন জনের নাম নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে।

এছাড়া কথাসাহিত্যে নাহিদা নাহিদ, সাইফ বরকতুল্লাহ, নিলুফা আক্তার ও আনিফ রুবেদ এর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে নাহিদা নাহিদ ইতোমধ্যে কয়েকটি পুরস্কার পেয়ে গেছেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যাও কম।

প্রবন্ধে এগিয়ে রয়েছেন সৌম্য সালেক, জোবায়ের মিলন ও ফারুক সুমন। অনুবাদে রায়হান রাইন, মামুন রশীদ ও অরণ্য আপন। ফিচার ও ভ্রমণসাহিত্যে নাদিম মজিদ, আবু আফজাল সালেহ ও জোবায়েদা লাবণী, ফতিমা জাহানের নাম শোনা যাচ্ছে।

এদিকে, কবিতায় ‘চর্যাপদ সাহিত্য একাডেমি দোনাগাজী পদক-২০২০’-এর জন্য প্রত্যয় হামিদ ও সায়্যিদ মঞ্জুর শোনা যাচ্ছে। প্রবন্ধে সরকার মাসুদ, আজিজ কাজল, নাসির হেলালের নাম আলোচনায় আছে। সংগঠক হিসেবে কবি ফখরুল হাসানের নাম আলোচিত হচ্ছে। নাটকে জাহাঙ্গীর হোসেন ঢালী, প্রণব কুমার রায় ও অরুণ সরকার এবং ফিচার ও ভ্রমণ সাহিত্যে রিফাত কান্তি সেন, ডানামির্জা ও ইয়াহিয়া মান্নানের নাম ঘুরেফিরে উচ্চারিত হচ্ছে। বাচিক শিল্পে পেতে পারেন কাজী মাহতাব সুমন, নূর-ই আলম ও কাব্য কাব্য কণিকার মধ্যে যেকোনো একজন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের এই পদক পেয়েছেন ৮ জন। তারা হলেন কথাসাহিত্যে মনি হায়দার, কবিতায় অনু ইসলাম, গবেষণা সাহিত্যে এ এসএম ইউনুছ, সার্বিক সাহিত্যে মোস্তফা হায়দার, লিটলম্যাগ সম্পাদনায় সুমন কুমার দত্ত, সংগীতে মোহাম্মদ ইউসুফ ও বাচিকশিল্পে জেরিন সিঁথি।