গ্রিসের ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারিতে ডাকাতি হয়েছিল। ডাকাতেরা অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে স্পেনের বিখ্যাত চিত্রকর পাবলো পিকাসোর একটি শিল্পকর্ম নিয়ে যায়। ওই ঘটনার নয় বছর চলে গেছে। অবশেষে উদ্ধার হয়েছে পিকাসোর হারিয়ে যাওয়া সেই শিল্পকর্ম।
সোমবার (২৬ জুন) গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী এথেন্সের ন্যাশনাল আর্ট গ্যালারিতে ছিল পিকাসোর ওই শিল্পকর্ম। ২০১২ সালে সেখানে ডাকাতি হয়। এ সময় তিনটি শিল্পকর্ম নিয়ে যায় ডাকাতেরা। তাতে পিকাসোর আঁকা নারীর মুখাবয়বের একটি শিল্পকর্মও ছিল।
এথেন্সের পুলিশ জানিয়েছে, নয় বছর পরে এসে পিকাসোর আঁকা ওই শিল্পকর্ম উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় ডাচ্ চিত্রকর পিয়েত মন্দ্রিয়ানের আঁকা উইন্ডমিলের একটি ছবিও উদ্ধার করা হয়েছে। ১৯০৫ সালে তিনি এ ছবি এঁকেছিলেন। ২০১২ সালে এ শিল্পকর্মও নিয়ে গিয়েছিল ডাকাতেরা।
২৬ জুন সকালে এথেন্সের পুলিশের একটি তল্লাশি অভিযানে শিল্পকর্ম দুটি উদ্ধার করেছে। দুটি শিল্পকর্মই ফ্রেম থেকে বিচ্ছিন্ন করে পাচারের চেষ্টা করা হচ্ছিল। অভিযান সম্পর্কে এর চেয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি পুলিশ।
তবে এথেন্সের পুলিশের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সদস্যের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এথেন্সের উপকণ্ঠে পরিচালিত অভিযানে একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি গ্রিসের নাগরিক। কয়েক মাস আগে পুলিশ জানিয়েছিল, তাঁদের ধারণা, শিল্পকর্মগুলো গ্রিসেই রয়েছে।
গত শতকের চল্লিশের দশকে এথেন্সের ন্যাশনাল গ্যালারিকে শিল্পকর্মটি পিকাসো নিজেই উপহার দিয়েছিলেন। ওই সময় তিনি বলেছিলেন, প্রায় এক দশক আগে এ ছবি আঁকা হয়েছে। এটি নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে প্রতিরোধের স্বীকৃতির চিহ্ন বহন করছে। ১৮৮১ সালের ২৫ অক্টোবর স্পেনে জন্ম পাবলো পিকাসোর। তিনি একাধারে চিত্রকর ও ভাস্কর ছিলেন। জীবনের বড় একটি অংশ ফ্রান্সে কাটিয়েছেন তিনি। সেখানেই ১৯৭৩ সালের ৮ এপ্রিল পিকাসো মারা যান।
সূত্র: প্রথম আলো, বিবিসি