মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেছেন, বাংলা একাডেমির সঙ্গে আমার সংযোগ দীর্ঘদিনের। একাডেমি বাঙালির সামগ্রিক স্বপ্নকল্পনা, সৃষ্টিশীলতা ও জাতিসত্তার প্রতীক-প্রতিষ্ঠান। আমি আশা করি, সবার সমবেত সংযোগ ও সক্রিয়তায় আমরা বাংলা একাডেমিকে বাংলাদেশের মানুষের কাঙ্ক্ষিত জ্ঞান-গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবো।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক পদে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার (১৪ জুলাই) একাডেমির শহিদ মুনীর চৌধুরী সেমিনার কক্ষে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি। এ সময় নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে স্বাগত জানান একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান, একাডেমির পরিচালক, উপপরিচালক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলা একাডেমির প্রয়াত সভাপতি শামসুজ্জামান খান এবং প্রয়াত মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে একাডেমি পরিবারের পক্ষ থেকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা আশা করি কবি মুহম্মদ নূরুল হুদার দক্ষ ও সৃজনশীল নেতৃত্বে বাংলা একাডেমি তার প্রতিষ্ঠার তাৎপর্য এবং উদ্দেশ্যকে সফল করতে সক্ষম হবে।
এদিকে, বাংলা একাডেমির নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা দায়িত্ব গ্রহণের পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিসৌধ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী সমাধি-ফলকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বাংলা একাডেমির স্বপ্নদ্রষ্টা, বহু ভাষাবিদ ও জ্ঞানতাপস ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। সবশেষে আজিমপুর গোরস্থানে বাংলা একাডেমির প্রয়াত সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান এবং প্রয়াত মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে নীরবতা পালন এবং প্রার্থনা করা হয়।